হাতিয়া থানা যুদ্ধ (হাতিয়া, নোয়াখালী)
হাতিয়া থানা যুদ্ধ (হাতিয়া, নোয়াখালী) সংঘটিত হয় ১৪ই আগস্ট। এতে ১২০ জন রাজাকার ও পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট অত্মসমর্পণ করে।
সারাদেশে যখন যুদ্ধের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তখন স্থানীয় মুসলিম লীগ নেতারা হাতিয়ায় রাজাকারদের সংখ্যা বাড়াচ্ছিল। এ বিষয়টি লক্ষ করে সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা সিদ্ধান্ত নেন যে, রাজাকারদের প্রতিহত করতে হবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। সবদিক বিবেচনা করে থানা আক্রমণ, রাজাকারদের ধ্বংস এবং তাদের অস্ত্র ও গোলা-বারুদ আয়ত্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রাজাকারদের ক্যাম্প ছিল হাতিয়া থানায়। ১৪ই আগস্ট প্রথম প্রহরে মুক্তিযোদ্ধারা চতুর্দিক থেকে থানা আক্রমণ করেন। উভয় পক্ষে ৪ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে গুলি বিনিময় হয়। অবশেষে ১২০ জন রাজাকার ও পুলিশ আত্মসমর্পণ করে। তাদের শতাধিক রাইফেল ও বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ডেপুটি কমান্ডার রফিকুল আলম। [মো. কেয়ায়েত উল্যাহ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড