You dont have javascript enabled! Please enable it!

হাটগোদাগাড়ি যুদ্ধ (দুর্গাপুর, রাজশাহী)

হাটগোদাগাড়ি যুদ্ধ (দুর্গাপুর, রাজশাহী) সংঘটিত হয় ১৪ই অক্টোবর। এতে ৩০ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরপক্ষে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।
রাজশাহী জেলার ফলিয়ার বিলে অবস্থিত হাটগোদাগাড়ি স্থানটি অনেকটা দ্বীপের মতো ছিল। ১৪ই অক্টোবর নায়েব সুবেদার নূরুন্নবীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল গড়িহাট নামক স্থানে অবস্থান করছিল। এদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হল ক্যাম্প থেকে একদল পাকিস্তানি সৈন্য ও শতাধিক রাজাকার গড়িহাটের মুক্তিযোদ্ধা দলকে ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের চারদিকে পানি থাকায় তাঁরা একটি বাঁশের সেতু দিয়ে আসা-যাওয়া করতেন। হানাদার বাহিনী এ সেতু দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের দিকে আসতে থাকে। তাদের লক্ষ্য করে মুক্তিযোদ্ধারাই প্রথমে ফায়ারিং শুরু করেন। আক্রমণের প্রথম দিকে পাকিস্তানি বাহিনীর ৩০ জন সৈন্য নিহত হয়। পাকিস্তানি বাহিনী পাল্টা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি ফুরিয়ে গেলে তাঁরা পশ্চাদপসরণ করে নিরাপদ স্থানে চলে যান। এ-যুদ্ধে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা গুলিবিদ্ধ হন। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- ইপিআর সদস্য হাবিলদার নূরুন্নবী, আনিছুর ও কহিনূর, আব্দুল করিম মোল্লা, ডা. আব্দুল্লাহ, আ. সালাম, নাজিমউদ্দিন, আফসার, নূরুল ইসলাম, ইয়াছিন, হবিবর রহমান, হায়দর আলী, আব্দুল কাদের, খোশ মোহাম্মদ, মো. আব্দুল হাকিম, আব্দুল মান্নান, খলিল, মনসের, আলী হোসেন, ছইমুদ্দিন প্রমুখ। [মো. মাহবুবর রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!