You dont have javascript enabled! Please enable it!

হরিহরপাড়া গণহত্যা (নারায়ণগঞ্জ সদর)

হরিহরপাড়া গণহত্যা (নারায়ণগঞ্জ সদর) সংঘটিত হয় ২৯ ও ৩০শে মার্চ। নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের হরিহরপাড়ায় পাকিস্তানি সেনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িগুলোতে এ গণহত্যা চালায়। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১১ জনসহ বহু মানুষ নিহত হয়।
অবাঙালিদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়িতে আক্রমণ চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। নারীদের সোনার গহনা খুলে নেয়। ২৯শে মার্চ সকাল ১১টায় পাকিস্তানি সৈন্যরা হরিহরপাড়া জমিদার বাড়িতে হামলা করে। ঢাকা ভেজিটেবল মিলে কর্মরত প্রধান নিরাপত্তা কর্মীর সহায়তায় তারা জমিদার বাড়িতে প্রবেশ করে। এখানে ফতুল্লা থানার দারোগা বিশ্বেশ্বর দে তার পরিবারবর্গ নিয়ে বাস করতেন। পাকিস্তানি সেনাদের আগমন টের পেয়ে কয়েক মিনিট আগে তিনি পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তার বড় ছেলে প্রণব কুমার দে (ছাত্র) ও শ্যালক দরজায় তালা লাগিয়ে উঠানে দাঁড়াতেই পাকিস্তানি সেনাদের সামনে পড়ে যায়। পাকিস্তানি সেনারা সঙ্গে-সঙ্গে তাদের গুলি করে হত্যা করে। এরপর তারা গৌরাঙ্গ বাবুর ভাগ্নেকে হত্যা করে। ৩০শে মার্চ ন্যাশনাল অয়েল মিলস ক্যাম্পে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনারা হরিহরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৮ জনসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। নিহত যাদের নাম জানা গেছে, তারা হলেন— নিতাই দাশ, তার স্ত্রী অনিমা দাশ, শ্যালক অমলেশ নন্দী ও দোকানদার সোহরাব হোসেন। [রীতা ভৌমিক]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!