You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে হরিপুর উপজেলা (ঠাকুরগাঁও)

হরিপুর উপজেলা (ঠাকুরগাঁও) প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি এলাকা। তদানীন্তন খোলড়ার জমিদার হরিমোহনের নামানুসারে এ জনপদের নাম হয় হরিপুর। হরিপুর ১৯১০ সালে থানা এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। এর উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। উত্তর দিকের কিছু অংশ ও পূর্বাংশ রাণীশংকৈল উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত। ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হরিপুর উপজেলা ঠাকুরগাঁও জেলার অহংকার। স্বাধীনতা যুদ্ধে হরিপুরবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সমগ্র ঠাকুরগাঁওবাসীকে উদ্বুদ্ধ করে।
১৯৭০ সালের নির্বাচন থেকে ১৯৭১ সালের ২৯শে মার্চ পর্যন্ত জাতীয় ও জেলা পর্যায়ের সকল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে হরিপুরবাসীর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে অসহযোগ আন্দোলনএর শুরুর দিকে ৩রা মার্চ ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগএর সভাপতি আব্দুল লতিফ মোক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় হরিপুরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এ সভায় গঠিত ৭১ সদস্যবিশিষ্ট সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদে হরিপুরের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অন্তর্ভুক্ত হন। তাঁরা ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জনসভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে ঢাকা যান। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ- ৮ই মার্চ রেডিওতে প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে ঠাকুরগাঁও-এর মতো হরিপুরবাসীও গর্জে ওঠে। হামিদুর রহমান চৌধুরী (বীরগড়), আলী আকবর (সন্ধারই, রাণীশংকৈল), এ কে পান মোহাম্মদ চৌধুরী (আমগাঁও), সোলায়মান আলী (তোররা), আজিজুল হক, হাসানুজ্জামান চৌধুরী, মিজানুর রহমান (বনগাঁ, রাণীশংকৈল), কেরামত আলী চৌধুরী, আব্দুর রহীম চেয়ারম্যান, ইলিয়াস (মহেন্দ্ৰগাঁও), মোতালেব (বকুয়া), সানাউল্ল্যাহ (খোলড়া), নুরুল ইসলাম (বকুয়া, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান) প্রমুখের নেতৃত্বে হরিপুরে মুক্তিযুদ্ধের কর্মকাণ্ড বেগবান হয়।
হরিপুর সীমান্তে তিনটি ইপিআর ক্যাম্প ছিল। প্রতিটি ক্যাম্পেই বাঙালি ইপিআর-এর সংখ্যা কম ছিল। শুধুমাত্র ভাতুরিয়া ক্যাম্পে ২ জন পশ্চিমা সেনা ও আটজন বাঙালি ইপিআর কর্মরত ছিল। উল্লিখিত ইপিআর ক্যাম্পসমূহে পাকসেনাদের গতিবিধি বাঙালি ইপিআর-গণ আন্দোলনকারীদের কাছে সরবরাহ করতেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে হরিপুরবাসীর অংশগ্রহণের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে বাঙালি ইপিআর আহাদ আলী আ. বারেক ও নায়েক আব্দুল মান্নান নামে দুজন অবাঙালি ইপিআর সেনাকে হত্যা করে প্রচুর অস্ত্র-শস্ত্রসহ মধুডাঙ্গীর আলাউদ্দিন (পরে শহীদ) ও সোলায়মান আলী ভাতৃদ্বয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ইতোমধ্যে জেলা রাজনৈতিক নেতৃত্বের আদেশে থানায় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। স্থানীয়ভাবে আনসার-মুজাহিদদের সংগঠিত করে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। ইপিআর বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করেন। বাঙালি ইপিআর-দের সহায়তায় বিক্ষুব্ধ জনতা একটি ক্যাম্প আক্রমণ করে ৫-৭ জন অবাঙালি সেনাকে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী নাগর নদীতে ফেলে দেয়।
মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে ঠাকুরগাঁও জেলা ৫ নম্বর পশ্চিম জোনের আওতায় ‘ক’ উপ-অঞ্চলের অধীনে ছিল। এর উপ- প্রশাসক ছিলেন আজিজুর রহমান এমএনএ। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হলে ঠাকুরগাঁও ৬নং সেক্টরের অধীনে পড়ে। এ সেক্টর ছিল রংপুর জেলা ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা নিয়ে। উইং কমান্ডার এম কে বাশার সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। হরিপুরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও থানা কমান্ডার ছিলেন এফএফ সদস্য কেরামত আলী চৌধুরী (মহেন্দ্ৰগাঁও)। মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন আসগর আলী (পতনডোবা)।
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর ছিল বিহারি অধ্যুষিত একটি শহর। এখানে পাক হানাদারদের বিশাল সেনানিবাস ছিল। এখান থেকে তারা বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে অভিযান চালাত। দিনাজপুরের ১০ মাইল উত্তরে দশ মাইল নামক স্থানে পাকসেনাদের অগ্রযাত্রা প্রতিরোধ করার জন্য সামান্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হরিপুরবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু প্রশিক্ষিত পাকসেনাদের সামনে টিকতে না পেরে তারা ফিরে আসে। পরে তারা ভাতুরিয়া ক্যাম্পসহ আরো দুটি পাকসেনা ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। গেরিলা যোদ্ধাদের অংশগ্রহণে তারা পাকসেনা ও তাদের দোসরদের নিকট আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
জুন মাসের প্রথম থেকেই হরিপুর থানায় গেরিলা তৎপরতা লক্ষ করা যায়। ভারতের থুকড়া বাড়িতে প্রশিক্ষণ নিয়ে গেরিলারা অপারেশন পরিচালনা করতেন। কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী ও রৌমারী থানার বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক ঠাকুরগাঁও সীমান্তে এসে পাকসেনাদের অবস্থানের ওপর হামলা চালান। বালিয়াডাঙ্গীর রামনাথ থেকে সীমান্তের পশ্চিম প্রান্ত ধরে হরিপুর ও পীরগঞ্জ থানার পশ্চিম-দক্ষিণ প্রান্ত ছুঁয়ে দিনাজপুর জেলার বিরল সীমান্তে রাধিকাপুর এলাকার উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত গেরিলাদের অবস্থান ছিল। অকুতোভয় গেরিলাদের মধ্যে শাহজাহান, খলিলুর রহমান, আকবর আলী, চান মিয়া ও আব্দুস সামাদ ছিলেন উল্লেখযোগ্য।
পাকসেনারা হরিপুরবাসী কর্তৃক ক্যাম্প আক্রমণে প্রথমে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। পরে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে তারা রাণীশংকৈল থেকে এসে এখানে অনুপ্রবেশ করে এবং কামারপুকুরের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে যাদুরাণী হাটে বাংকার খনন করে। স্থানীয় রাজাকার- আলি বদরবাহিনীর সহয়তায় হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালায়। হাটুরে, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এমনকি জুমার দিন নামাজে গমনরত মুসল্লিদেরও সুকৌশলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে কামারপুকুর তিনরাস্তার মোড় সংলগ্ন পুকুরে নিক্ষেপ করত। এভাবে গণহত্যার বিভীষিকায় গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ভারতে চলে যায়।
হরিপুরে পাকবাহিনীর সহযোগী হিসেবে রনহাট্টার আ. হামেদ ওরফে ঝুকু কমান্ডার, আমগাঁও-এর খলিল মুহুরী, তোররার নাজিব উদ্দিন, কামারপুকুরের সফির উদ্দিন, হাটপুকুরের সাহেদ আলী, পাহাড়গাঁও-এর আ. রশিদ ডিলার, বশলগাঁয়ের আব্দুল্লাহ, গিয়াস, আব্দুল হক, আব্দুর রহমান, সিদ্দিক হোসেন, বেহেজ আলী, বাগেন, আনু, মফিজ, নিয়াজ, বেলাল, অভা, গফুর, নরেশ, ইব্রাহিম মুসি ও আলতাফ হোসেনের নাম উল্লেখযোগ্য। হরিপুর থানা শান্তি কমিটির সেক্রেটারি ও বীরগড় ইউনিয়ন শান্তি কমিটির সেক্রেটারি ছিল আ. হামেদ ঝুকুর কমান্ডার।
পাকবাহিনী মে মাসে হরিপুরের অনুপ্রবেশ করে কয়েকটি স্থানে হত্যাকাণ্ড চালায়। এতে তিন শতাধিক লোক নিহত হয়। তাদের মধ্যে ওমর আলী সরকার (তোররা), ডা. আজিজুর রহমান (ভবানন্দপুর), সিরাজ মণ্ডল (হরিপুর), আ. রশিদ (দেহট্ট), ডা. নাফিল উদ্দিন, বজির উদ্দিন (কামারপুকুর), মনিরুল ইসলাম (বালিহারা), কফিল উদ্দিন (খোলড়া) প্রমুখকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। কামারপুকুর সংলগ্ন মসজিদে জুমআর নামাজ পড়ার জন্য আগত অন্তত ১২ জন মুসল্লিকে তারা ধরে এনে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ১০ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন— গেদা মোহাম্মদ (পিতা অথির মোহাম্মদ), অমর আলী (পিতা অথির মোহাম্মদ), আব্দুল খালেক (পিতা গেদা মোহাম্মদ), কোনথোল (পিতা ভুলু মোহাম্মদ), নিচেনিয়া (পিতা শফিক মোহাম্মদ), ভোলা মোহাম্মদ (পিতা খোরশেদ আলী), মোহর আলী (পিতা চাঁন মোহাম্মদ), আশির উদ্দীন (পিতা মোকাস আলী), মতিবর (পিতা খয়ের মোহাম্মদ) ও তফির উদ্দিন।
পাকসেনারা কামারপুকুরের সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার (বাঁশ দিয়ে নির্মিত) থেকে স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের গমনাগমন অবলোকন করত। ভারত থেকে দলবদ্ধভাবে আগত ২-৩ শত জনতার ওপর তারা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করে কামারপুকুর তিনরাস্তা সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দেয়। পরে আরো বহু লোককে হত্যা করে এখানে ফেলে দেয়া হয়। কামারপুকুর বাংকার থেকে বেশকিছু যুবতী মেয়েকে উদ্ধার করা হয়।
হরিপুরে পাকসেনারা স্থায়ীভাবে থাকত না। তিনটি পয়েন্টে (কামারপুকুরের উত্তরে ও দক্ষিণে দুটি এবং যাদুরানী হাটে একটি) বাঙ্কার নির্মাণ করে সারা দিন অবস্থানের পর তারা পার্শ্ববর্তী থানা রাণীশংকৈলে চলে যেত। রাণীশংকৈলে ছিল তাদের নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির। কামারপুকুরে একটি বধ্যভূমি আছে।
হরিপুর উপজেলায় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাঠালডাঙ্গী যুদ্ধ, শিশুডাঙ্গী বিল যুদ্ধ, বুজরুক যুদ্ধ ও বীরগড় যুদ্ধ। তালদীঘিতে পাকসেনাদের খোলড়া গোরস্থানে মুক্তিযোদ্ধদের ক্যাম্প ছিল। পাকসেনারা তালদীঘি, কাঠালডাঙ্গী ও ভাতুরিয়া রুটে টহল দিত। টহল দেয়ার সময় একবার তারা মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী-র মুখোমুখি হলে কাঠালডাঙ্গী ফাজিলপুরের মাঝখানে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী এ-যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ৫ জন সৈন্য শহীদ হন। শিশুডাঙ্গী বিল যুদ্ধে কমান্ডার কেরামত আলী চৌধুরী মারাত্মকভাবে আহত হন। তাঁর নাড়ি-ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। তাঁকে দ্রুত কোলকাতা নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সোলেমান আলী আহত হন। কোমরের নিচে ডান উরুতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। জুন মাসে বুজরুক নামক স্থানে আরেকটি যুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কতিপয় রাজাকারকে আটক করলে এ সংবাদ পেয়ে পাকসেনারা অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে ২২ জন শ্রমিক নিহত এবং বেশকিছু আহত হয়। এখানে বিএলএফ প্রধান আসগর আলী বাম হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। অক্টোবরের শেষদিকে পাকসেনা ও তাদের দোসররা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এ-সময় কয়েকজন রাজাকার বীরগড় আমবাগানের রাস্তা ধরে ভারতে পালানোর সময় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিসেনারা টের পেয়ে গুলি বর্ষণ করে। রাজাকাররাও গুলি ছোড়ে। এখানে প্রায় এক ঘণ্টা যুদ্ধ হয়। যুদ্ধশেষে দুজন রাজাকার আহত অবস্থায় ধরা পড়ে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী তাদের অস্ত্রশস্ত্র হস্তগত করে। ৩রা ডিসেম্বর হরিপুর উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
হরিপুর উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মজির উদ্দিন (পিতা হাজী কদম আলী, ধৌলা মেদনীসাগর), নুরুল ইসলাম (বনগাঁও), নজরুল ইসলাম (পিতা চাঁন মোহাম্মদ, আমগাঁও), চিহারু পাল ওরফে সনো পাল (পিতা বৰ্ষণ পাল, জামুন), মোজাম্মেল হক (পিতা নফিল উদ্দিন, নন্দগাঁও), মহিম উদ্দিন (পিতা মুলকা মোহাম্মদ, রুহিয়া), হাফিজ উদ্দিন (পিতা মোহর বক্স, বুজরুক), সোহরাব আলী (পিতা ছুটু মুন্সি, ধুকুরিয়া), হাবিবর রহমান (পিতা মুনসেফ আলী, বকুয়া), মুনসেফ আলী (পিতা তসর মুন্সি, নারগুন), আজমল হক (পিতা সফিজ উদ্দিন, বীরগড়), শাখাওয়াৎ হোসেন (পিতা রাফাতুল্ল্যাহ, দস্তমপুর), আব্দুস সাত্তার (পিতা আব্দুল আজিজ, শিহিপুর), শওকত আলী (পিয়ার মোহাম্মদ, ডাঙ্গীপাড়া), নূর ইসলাম (পিতা বঘসুমো, বীরগড়), সরাফ উদ্দিন (পিতা আব্দুল গফ্ফার, দনগাঁও), আব্দুল জলিল ইপতা তেজ মোহাম্মদ, বালিহারা), মো. আবুল হোসেন (পিতা চৌল মোহাম্মদ, বালিহারা), গিয়াস উদ্দিন (পিতা ইসলামইল, চাপাসার), মহির উদ্দিন (পিতা বুধু মোহাম্মদ, ভাতুরিয়া), আজির উদ্দিন (পিতা পেয়ার মোহাম্মদ, বহতি), আলাউদ্দিন (পিতা জমির উদ্দিন, গড়ভবানীপুর), শলিফ উদ্দিন (পিতা জাফর উদ্দিন, ভাতুরিয়া), জয়নাল আবেদীন (পিতা বশির উদ্দিন, যাদবপুর) ও আব্দুল গফুর (ভাতুরিয়া)। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে উপজেলা চত্বরের পূর্ব-উত্তরে শহীদ মিনারের পাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। [মো. ওসমান গনী]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!