হবিগঞ্জ থানা ও বিদ্যুৎ ভবন যুদ্ধ (হবিগঞ্জ সদর)
হবিগঞ্জ থানা ও বিদ্যুৎ ভবন যুদ্ধ (হবিগঞ্জ সদর) সংঘটিত হয় ৬ই ডিসেম্বর। এর ফলে পাকসেনা ও রাজাকার-রা পালিয়ে যায় এবং তাদের ৭টি রাইফেল মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়।
৬ই ডিসেম্বর হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হবিগঞ্জ থানা ও বিদ্যুৎ ভবনের যুদ্ধ। এ দুটি স্থানেই রাজাকার ও পাকসেনারা অবস্থান নিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের ৩৫-৪০ জনের একটি প্লাটুন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে থানা ভবনের সামনের দিকে খোয়াই নদীর অপর তীরে (বর্তমান সদর হাসপাতালের সম্মুখে) একটি দল এবং বিদ্যুৎ ভবনের উত্তর-পূর্ব দিকে আরেকটি দল অবস্থান গ্রহণ করে শত্রুর ওপর আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। অতর্কিতে মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণে পাকসেনা ও রাজাকাররা তাদের অবস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তখন মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় জনগণের সহায়তায় শত্রুদের ৭টি ৩০৩ রাইফেল উদ্ধার করেন। পুরো পরিকল্পনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেন প্লাটুন কমান্ডার হাবিলদার আব্দুস শহীদ। [মুহম্মদ সায়েদুর রহমান তালুকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড