You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সমাজসেবী হরি নারায়ণ চক্রবর্তী

হরি নারায়ণ চক্রবর্তী ভারতের সমাজসেবী। তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কল্যাণপুর এলাকায় একটি বড় চা-বাগানের স্বত্বাধিকারী ছিলেন। বাংলাদেশে ২৫শে মার্চ গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধকালে বহু সংখ্যক শরণার্থী সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁর চা-বাগানে অবস্থান নেয়। তিনি তাঁদের আশ্রয় ও খাবারের বন্দোবস্ত করেন। পরবর্তীকালে যখন ভারত সরকার কর্তৃক শরণার্থী শিবির- স্থাপিত হয়, তখন তিনি শরণার্থীদের তাঁর চা-বাগানের গাড়িতে করে শিবিরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তিনি তাঁর চা-বাগানটি মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহারের জন্যও উন্মুক্ত করে দেন এবং তাঁদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশনের জন্য তাঁর চা-বাগান ব্যবহার করতেন এবং তিনি তাঁদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতেন। তাঁর চা-বাগানের শ্রমিকরাও গোলাবারুদ ইত্যাদি বহন করার ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতেন। এ চা-বাগানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল ধর কর্তৃক মোট ১,১০০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং এ ব্যাপারেও তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি কর্মচারীদের সর্বদা সাহায্য-সহযোগিতা করতেন।
মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১২ সালের ১৫ই ডিসেম্বর হরি নারায়ণ চক্রবর্তী-কে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। [কাজী সাজ্জাদ আলী জহির]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!