হরিণমারি হাট যুদ্ধ (বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও)
হরিণমারি হাট যুদ্ধ (বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও) সংঘটিত হয় ২৩শে মে। এ-যুদ্ধে ১৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। বালিয়াডাঙ্গী থানা সদর থেকে হরিণমারি হাট ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। এ হাটের ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত লাহিড়ী হাটে পাকসেনাদের ক্যাম্প ছিল। এ ক্যাম্প থেকে পাকবাহিনী ও রাজাকার-রা এলাকায় নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালাত। ভারত সীমান্তবর্তী হরিণমারি অঞ্চলে অনেক হিন্দু বসবাস করত। এখানে ছিল শতাব্দী প্রাচীন শিব মন্দির ও স্বচ্ছ জলরাশির এক বিশাল পুকুর। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা ২৩শে মে হাটের পশ্চিম ও উত্তরাংশে উঁচু-নিচু আইল ও পুকুর পাড়ে এম্বুশ নেন। পাকসেনা ও রাজাকাররা তাঁদের রেঞ্জের মধ্যে আসামাত্র আক্রমণ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা রাইফেল, এসএলআর ও স্টেনগানের গুলিবর্ষণ এবং দুই ইঞ্চি মর্টারের শেল ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ করলে কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধ চলে। যুদ্ধে ১৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। শেষ পর্যন্ত হানাদাররা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায়। এ-যুদ্ধে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এবং পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের ইপিআর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। [মো. ওসমান গনি ও মো. আব্দুল ওয়াহাব]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড