You dont have javascript enabled! Please enable it!

হরিণা রেল ব্রিজ অপারেশন (সোনাতলা, বগুড়া)

হরিণা রেল ব্রিজ অপারেশন (সোনাতলা, বগুড়া) পরিচালিত হয় অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধা খাজা নাজিমউদ্দিনের নেতৃত্বে। এ অপারেশনে ১৪ জন পাকসেনা নিহত হয়।
ঘটনার দিন মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারেন যে, সান্তাহার থেকে বোনারপাড়া হয়ে তিস্তামুখি ঘাটে পাকিস্তানি সৈন্যরা ট্রেনযোগে রওনা হচ্ছে। তখন মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রতিরোধের জন্য কমান্ডার খাজা নাজিমউদ্দিনের নির্দেশে হরিণা বিলের পশ্চিম পাশে ৩৮নং রেল ব্রিজের নিকট অবস্থান নেন। তাঁরা দুটি চায়না এন্টিট্যাংক মাইন পাথরের ওপর সেট করে নিরাপদ স্থানে অপেক্ষা করতে থাকেন। ভেলুরপাড়া থেকে একটি ট্রেন এগিয়ে এলে মুক্তিযোদ্ধারা এন্টিট্যাংক দুটির বিস্ফোরণ ঘটান। বিস্ফোরণে ট্রেনের ইঞ্জিন এবং অনেকগুলো বগি লাইনচ্যুত হয়ে পশ্চিম পাশে পড়ে যায়। এতে ১৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। এখবর পাওয়ার পর ভেলুরপাড়া ও সোনাতলা ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি সৈন্যরা সেখানে আসে এবং গোলাগুলি করে। পরের দিন সোনাতলা ক্যাম্পের হানাদার বাহিনী চামুরপাড়া গ্রামের এডভোকেট মকবুল হোসেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা সুজাইতপুর গ্রামের বেলায়েত আলী মাস্টার ও গফুরসহ রানীর পাড়া গ্রামের চান্দু ডাক্তারকে ধরে নিয়ে সোনাতলা ক্যাম্পে নির্যাতন চালায়। [মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!