মুক্তিযুদ্ধের স্মারক নিদর্শন ‘স্মৃতি চিরন্তন’
স্মৃতি চিরন্তন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন নীলক্ষেত-ফুলার রোডের সংযোগস্থলে ত্রিভুজ আকারে স্থাপিত টেরাকোটা সম্বলিত মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মারক নিদর্শন। এখানে রয়েছে মহান স্বাধীনতার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আত্মবলিদান, তার নিদর্শনস্বরূপ গ্রানাইট পাথরে তৈরি ছোট-বড় ১৪টি দেয়াল। বেদিতে ওঠার সময় কালো সিঁড়ির উভয় পাশে বাংলা ও ইংরেজিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং বিজয়ের প্রাক্কালে রাজাকার-আলবদর সদস্যদের হাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখা ফলক ‘স্মৃতি চিরন্তন’। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদদের নামের তালিকা খোদাইকৃত এ জায়গাটি পরিচিতি পায় শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বর নামে। ‘স্মৃতি চিরন্তন’-এর সম আকৃতির দুটি স্তম্ভের একটিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর পংক্তিমালা ‘মরণ সাগর পারে তোমরা অমর, তোমাদের স্মরি, নিখিলে রচিয়ে গেলে আপনারি ঘর, তোমাদের স্মরি’ উৎকীর্ণ। অপরটিতে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর বাণী ‘শহীদ ভাইদের মুখ মনে কর, আর গভীর বেদনায় মূক স্তব্ধ হইয়া যাও, মনে কর, তোমাকে মুক্তি দিতেই সে এমন করিয়া অসময়ে বিদায় লইয়াছে’ উদ্ধৃত।
শিল্পী রফিকুন্নবী অনুমোদিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প বিভাগের অধ্যাপক (বর্তমানে প্রয়াত) আবু সাঈদের ড্রইং-এ স্থপতি মহিউদ্দিন সাকের কর্তৃক এর নির্মাণ কার্য আরম্ভ হয় ১৯৮৭ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি। দীর্ঘদিন পর এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ১৯৯৫ সালের ২৬শে মার্চ এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী স্মারক ফলকে উল্লেখ রয়েছে- ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন্যদের নামফলক সমাহার’ (স্থাপিত: ২৬শে মার্চ ১৯৯৫, সংস্কারকৃত: ৩০শে এপ্রিল ২০১৫)। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃৎশিল্প বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের পরিকল্পনায় স্মৃতি চিরন্তনকে আরো সমৃদ্ধ ও দৃষ্টিনন্দন করে সংস্কার করা হয়। কংক্রিটের দেয়ালে বসানো পোড়ামাটির ফলকে স্থান পেয়েছে হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর- অমানবিক নির্যাতনের ইতিহাস। ১৪টি দেয়ালের কঠিন কালো গ্রানাইটের ওপর উৎকীর্ণ করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ১৯৪ জনের নাম ও পরিচয়, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন শিক্ষক, ১ জন ডাক্তার, শহীদ শিক্ষক পরিবারের ৪ জন সদস্য, কর্মকর্তার সন্তান ১ জন, ১০৫ জন ছাত্র, ৩৩ জন কর্মচারী, শহীদ কর্মচারী পরিবারের ১০ সদস্য, ১৭ জন সাবেক কর্মচারী পরিবারের সদস্য এবং মধুর কেন্টিনের ব্যবস্থাপক মধুসূদন দে-সহ তাঁর পরিবারের ৪ জন সদস্যের নাম। পোড়ামাটির লালচে ফলকে ৫২-র ভাষা-আন্দোলন থেকে ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্তদান এবং বিজয় মিছিল উপস্থাপিত হয়েছে। এছাড়া রয়েছে বৃক্ষ, নৌকা, গোচারণ ক্ষেত্র, পাখ-পাখালি সম্বলিত প্রাকৃতিক দৃশ্য, বাঁশির সুর তোলা অবস্থায় রাখাল, কলসি কাঁখে গৃহবধূ, পরাধীনতার প্রতীক শেকল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, লাঠি মিছিল, রমনার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, প্রজ্জ্বলিত মশাল, যুদ্ধরত বিক্ষুব্ধ জনতা, পাকিস্তানি হানাদারদের বেয়নেট চার্জ, হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় অসহায় মানুষ, বধ্যভূমিতে উপুড় করে ফেলে রাখা লাশের স্তূপ, সবশেষে মুক্ত উড়ন্ত লাল-সবুজ পতাকার মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত সূর্য। আরো রয়েছে ভাষা-শহীদ বরকত, সালাম, জব্বার, রফিক, শফিক প্রমুখের নাম। আছে মহান ভাষা-আন্দোলন ও বাংলা ভাষা সম্পর্কিত বহু উচ্চারিত দুটি পংক্তি— ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এবং ‘মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা’। এর পাশেই রয়েছে দৃষ্টিনন্দন একটি ঝর্ণা। স্মৃতি চিরন্তন বেদিতে ওঠার জন্য সিঁড়ি ছাড়াও প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা।
স্মৃতি চিরন্তন-এ লিপিবদ্ধ ১৯৪ জন শহীদের নাম-পরিচয় শিক্ষক অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য (ফলিত পদার্থবিজ্ঞান), আবদুল মুকতাদির (ভূতত্ত্ব), আতাউর রহমান খান খাদিম (পদার্থবিজ্ঞান), এ এন এম মুনীরুজ্জামান (পরিসংখ্যান), গোবিন্দ চন্দ্ৰ দেব (দর্শন), জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা (ইংরেজি), ফজলুর রহমান খান (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), মোহাম্মদ সাদত আলী (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), শরাফত আলী (গণিত), আবুল খায়ের (ইতিহাস), আনোয়ার পাশা (বাংলা), গিয়াসউদ্দিন আহমদ (ইতিহাস), ন আ ম ফয়জুল মহী (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), মুনীর চৌধুরী (বাংলা), মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (বাংলা), রাশীদুল হাসান (ইংরেজি), সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য (ইতিহাস), সিরাজুল হক খান (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), মোহাম্মদ সাদেক (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক); ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক মোহাম্মদ মোর্তজা; শহীদ অধ্যাপক এ এন এম মুনীরুজ্জামান-এর পরিবারের সদস্য এডেভোকেট সামসউজ্জামান (ভাই), আ ক ম আকরামউজ্জামান (ছেলে), সৈয়দ নাসিরুল ওহাব মনজুর (ভাগ্নে); শহীদ অধ্যাপক ফজলুর রহমান খানের ভাগ্নে ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কাঞ্চন; কর্মকর্তা আফসারউদ্দিনের ছেলে মানিক; অনাবাসিক শিক্ষার্থী অসিত কুমার বসাক (চারুকলা ইনস্টিটিউট), অরুণ চন্দ্র (অর্থনীতি), অরুণ চৌধুরী (অর্থনীতি), আতাউর রহমান (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), আতিকুর রহমান (ইংরেজি), আবদুল কুদ্দুস (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), আবদুল্লাহ হারুন (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), আবদুস সালাম (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), আলাউদ্দিন মোহাম্মদ জাহান (ইংরেজি), জাহাঙ্গীর মুনীর (আইন), পঙ্কজ কুমার বসু (ইতিহাস), মাসুকার রহমান (পদার্থবিজ্ঞান), মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ (চারুকলা ইনস্টিটিউট), মোস্তফা কামাল শাহরিয়ার (বাংলা), মোহাম্মদ ওয়াজিউল্লাহ পাটোয়ারী (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), রেজাউল করিম মানিক (ইতিহাস), সৈয়দ রুহুল আমিন (আইন), শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্ড লেটটেন্যান্ট আশফাকুস সামাদ, বীর উত্তম (পরিসংখ্যান), বদিউল আলম বদি, বীর বিক্রম (অর্থনীতি), শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহিল বাকী, বীর প্রতীক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান); জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী অজিত রায় চৌধুরী, আনন্দ কুমার দত্ত, উপেন্দ্রনাথ রায় (পদার্থবিজ্ঞান), কার্তিক চন্দ্র শীল (ইংরেজি), কিশোরী মোহন সরকার (ইংরেজি), কেশবচন্দ্র হালদার (গণিত), গণপতি হালদার (রসায়ন), জীবন কৃষ্ণ সরকার (রসায়ন), দীনেশ চন্দ্র সরকার, ননীগোপাল ভৌমিক (পদার্থবিজ্ঞান), নিরঞ্জন চন্দ, নিরঞ্জন প্রসাদ সাহা (পদার্থবিজ্ঞান), নিরঞ্জন হালদার (পদাথবিজ্ঞার্ন), নির্মল কুমার রায়, পল্টন দাস, প্রদীপ নারায়ণ রায় চৌধুরী, প্রবীর পাল, বরদাকান্ত তরফদার (ভূতত্ত্ব), বিধানকৃষ্ণ ঘোষ (ইংরেজি), বিমলচন্দ্র রায় (পরিসসংখ্যান), ভবতোষ ভৌমিক, মনোরঞ্জন বিশ্বাস (গণিত), মুরারী মোহন বিশ্বাস (অর্থনীতি), মৃণালকান্তি বোস (অর্থনীতি), রণদাপ্রসাদ রায় (গণিত), রবীন রায়, রমনীমোহন ভট্টাচার্য (দর্শন), রাখালচন্দ্র রায় (গণিত), রূপেন্দ্রনাথ সেন (রসায়ন), শিবকুমার দাস (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), শিশুতোষ দত্ত চৌধুরী (ইংরেজি), সত্যরঞ্জন দাস (রসায়ন), সত্যরঞ্জন নাগ, সন্তোষ কুমার রায় (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), সন্তোষচন্দ্র রায় (উদ্ভিদবিজ্ঞান), সুজিত দত্ত (বাণিজ্য), সুব্রত সাহা, সুভাষচন্দ্র চক্রবর্তী (পরিসংখ্যান), সুভাষচন্দ্র ভট্টাচার্য, সুশীল চন্দ্র দাস (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), স্বপন কুমার চৌধুরী (পরিসংখ্যান), হরিনারায়ণ দাস (সমাজবিজ্ঞান); ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবুল ফজল, মো. আবদুস সালাম (ভূতত্ত্ব), মো. আবুল কাশেম (ভূতত্ত্ব), মো. গোলাম মাহমুদ (প্রাণরসায়ন), মো. নজরুল ইসলাম (বাংলা), মো. মোস্তাক হোসেন (মৃত্তিকা), মো. সিকান্দার আলী (ফার্মেসি), আবু তাহের পাঠান (আইন), আবুল কালাম (বাণিজ্য), এ টি এম জাফর আলম (মৃত্তিকা), চিশতি শাহ হেলালুর রহমান (দর্শন), জাহাঙ্গীর মুনীর (বাংলা), আশরাফ আলী খান (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), সালেহ আহমেদ মজুমদার (আইন); শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জালালউদ্দীন হায়দার (ফলিত পদার্থবিজ্ঞান); সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবদুল ওয়াদুদ (দর্শন), ওয়াহিদুর রহমান, নজরুল ইসলাম, নাসিম মোহসিন (ইংরেজি), নিজামুদ্দিন আজাদ, বীর উত্তম, মিয়া শাহজাহান কবির, মো. সলিমুল্লাহ, মোহাম্মদ আজমলুল হক (বাংলা), লুৎফুল আজিম (গণিত), শেখ আবদুস সালাম (ইংরেজি), সিকান্দার হায়াত খান, সৈয়দ শাহজামাল চৌধুরী (আইন); সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জিল্লুর মুরশিদ (ইতিহাস), বদিউল আলম (অর্থনীতি), মো. আতাউর রহমান (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মো. আবদুর রহিম (অর্থনীতি), মো. আমিরুস সালাম (ভূগোল), মো. মনিরুজ্জামান (অর্থনীতি), শামসুজ্জামান, বীর উত্তম (মৃত্তিকাবিজ্ঞান), হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের আবসিক শিক্ষার্থী খাজা নাজিমুদ্দিন ভূঞা (বাণিজ্য), খোন্দকার আবু তাহের, জহিরুল ইসলাম (বাণিজ্য), জাহাঙ্গীর হায়দার খান, মনজুর চৌধুরী, মনোয়ার হোসেন (লোকপ্রশাসন), মিরাজউদ্দিন (সমাজবিজ্ঞান), মোশাররফ হোসেন (অর্থনীতি); কর্মচারী আবদুল খালেক (রোকেয়া হল), আবদুল জলিল (জহুরুল হক হল), আবদুল মজিদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব), আবদুস শহিদ (ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র), আবদুস সামাদ (ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র), আলী আহমেদ পালোয়ান (বাংলো নং ৬), আলী হোসেন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব), আহমেদ আলী (রোকেয়া হল), এ কে এম আবদুল্লাহ ভূঞা ((শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), খগেন্দ্রচন্দ্র দে (দর্শন), জওহরলাল রাজভর (উদ্ভিদবিজ্ঞান), দাসু রাম (উপাচার্য ভবন), দুঃখীরাম মণ্ডল (জগন্নাথ হল), নমী রায় (রোকেয়া হল), নোনা মিয়া (চারুকলা ইনস্টিটিউট), পিরু মিয়া ওরফে পীর মোহাম্মদ (রেজিস্ট্রারের দপ্তর), প্রিয়নাথ রায় (জগন্নাথ হল), মনভরণ রায় (নিপা ভবন), মিশ্রী রাজভর (প্রকৌশল দপ্তর), মো. আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া (উদয়ন হাইস্কুল), মো. চুন্নু মিয়া (রোকেয়া হল), মো. নুরুল ইসলাম (রোকেয়া হল), মো. শামছুদ্দীন (সার্জেন্ট জহুরুল হক হল), মো. সোলায়মান খান (রোকেয়া হল), মো. হাফিজউদ্দিন (রোকেয়া হল), লাড্ডু লাল (ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র), শামছুল হক মজুমদার ইউওটিসি (বিএনসিসি), শিবপদ কুড়ি (জগন্নাথ হল), শিবু মোদক (জগন্নাথ হল), সিরাজুল হক (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব), সুনীলচন্দ্র দাস (জগন্নাথ হল), সুনীলচন্দ্র দে (প্রকৌশল দপ্তর), সোহরাব হোসেন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব), শহীদ পরিবারের সদস্য আবদুস সাত্তার, ছায়া রাণী রায়, নূরজাহান নূরী, বীরু রায়, মতিলাল দে, মায়া রাণী রায়, শংকর রায়, শান্তি রায়, শিবু রায়, সুন্দরী রায়, প্রাক্তন কর্মচারী পরিবারের সদস্যবৃন্দ আফিয়া বেগম, আবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, ছাদেক আলী, ছামিরুননেছা, জাহাঙ্গীর আলম, জিন্নাতুননেছা, তোফায়েল আহমেদ, নাহার, পারভীন, মো. নাসিরউদ্দিন, মোসলেমউদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, রাশিদা বেগম, রাশিয়া বেগম, সুরাইয়া বেগম, সোবহান, মধুসূদন দে (মধু দা), যোগমায়া দে (স্বামী মধূসুদন দে), রণজিৎ কুমার দে (পিতা মধূসুদন দে) ও রিনা রাণী দে (স্বামী রণজিৎ কুমার দে)।
স্মৃতি চিরন্তন ২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা, নির্যাতন ও পুরো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের লাশে পরিণত হবার স্মৃতি। বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের করুণ ইতিহাসের সাক্ষ্য স্মৃতি চিরন্তন বা Memory Eternal। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড