You dont have javascript enabled! Please enable it! পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার আলোকে নির্মিত তথ্যচিত্র স্টপ ’জেনোসাইড’ - সংগ্রামের নোটবুক

পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার আলোকে নির্মিত তথ্যচিত্র স্টপ ’জেনোসাইড’

স্টপ জেনোসাইড ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ থেকে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার বিষয়টিকে তুলে ধরে স্টপ জেনোসাইড তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন চিত্র পরিচালক জহির রায়হান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এপ্রিল-মে মাসে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছিল। চিত্রনাট্য লিখেছিলেন জহির রায়হান ও আলমগীর কবির। ইংরেজি ধারা বিবরণীতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন আলমগীর কবির। আবহকণ্ঠ ইংরেজিতে দেয়ার কারণে এটি আর্ন্তজাতিক অঙ্গনেও প্রচার পেয়েছিল।
এটি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গণহত্যার বিষয়টিকে প্রচার এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠন করা। ছবিটি শুরু হয় রুশ বিপ্লবের নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের একটি উক্তি দিয়ে:
To accuse those who support freedom of self-determination, freedom to secede, of encouraging separatism,  foolish and hypocritical as accusing those who advocate freedom of divorce of encouraging the destruction of family ties.
লেনিনের কথার মর্মার্থ ‘বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকারকে যেমন পরিবার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলা যাবে না, তেমনি স্বাধিকার -প্রতিষ্ঠায় যারা আন্দোলন করেন তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী বলা যাবে না’। প্রাসঙ্গিকভাবেই লেনিনের এ উক্তিটি জহির রায়হান এ তথ্যচিত্রে ব্যবহার করেছিলেন। পাকিস্তানি সামরিক শাসক এবং তাদের দোসর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো মুক্তিযুদ্ধকে শুরু থেকেই ‘বিছিন্নতাবাদী চক্রান্ত’ ও ‘ভারতের ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করছিল। তাই চলচ্চিত্রকার স্পষ্ট করেই বুঝিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের সশস্ত্র প্রতিরোধ ছিল জনগণের মুক্তিযুদ্ধ, এটি কোনো বিছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল না। স্টপ জেনোসাইডে বাংলাদেশের জনগণের ওপর পাকিস্তানি বর্বরতাকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ যে অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক বিষয় ছিল, সে দিকটির প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেছিলেন।
গ্রামীণ পটভূমিতে চিত্রায়িত এ তথ্যচিত্রের শুরুতেই দেখা যায় একটি সরল মুখায়বের কিশোরী ঢেঁকিতে ধান ভানছে। ছন্দের তালে-তালে হাসিমুখে নির্বিঘ্নে ধান ভেনে চলছে। তার ভেতরে কোনো উৎকণ্ঠা ছিল না। হঠাৎ ঢেঁকির শব্দকে ছাপিয়ে শুরু হয় মেশিনগানের গুলির শব্দ, ভারী বুটের আওয়াজ, ব্রাশফায়ার, বুলেটের শব্দ ও গগনবিদারী আর্তচিৎকার। দৃশ্য পরিবর্তন হতেই ভেসে আসে কাকের কা-কা ডাক। চারদিক অন্ধকার। দেখা যায়, সেই কিশোরীর হাসির রেশ মিলিয়ে গেছে। দেখা যায়, একটি প্রাচীর আস্তে- আস্তে ধ্বসে পড়ছে। দৃশ্যটির মধ্য দিয়ে দেশের পরিস্থিতি এবং নারীর ওপর নির্যাতনের বিষয়টি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। পর্দায় ভেসে ওঠে স্টপ জেনোসাইড শব্দ দুটি।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতর। সেখানে মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের কপি টাইপ হচ্ছে। নিউইয়র্ক, ২০শে জুলাই: জাতিসংঘের ঘোষণায় মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি জাতিসংঘের পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের স্বীকৃতির বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে।
পরের দৃশ্যেই দেখা যায় ভিয়েতনামে বি-৫২ বোমারু বিমানের ধ্বংসযজ্ঞ। ‘এই দিনই মার্কিন জেট ফাইটার, হেলিকপ্টার, গানশিপগুলো ভিয়েতনামের গ্রামাঞ্চলে নৃশংসভাবে রকেট হামলা চালায়,’ সেই সঙ্গে বি-৫২ বোমারু বিমানগুলো ১২ লক্ষ টন শক্তির সমান বিস্ফোরক নির্বিচারে নিক্ষেপ করেছে। মার্কিনিরা ১৫ হাজার পাউন্ড ওজনের দ্যালি-কাটার নামক নতুন বোমার পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি দেখানো হয় নারী-পুরুষ-শিশুদের হত্যা।
জহির রায়হানের এ তথ্যচিত্রে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যাকে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ভিয়েতনামে পরিচালিত গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
দৃশ্যের পরিবর্তন হয়। দেখা যায় পুনরায় জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের কপি টাইপ হচ্ছে। পাশাপাশি দেখানো হয়েছে ভিয়েতনামের যুদ্ধাপরাধে বিচারাধীন জনৈক মার্কিন লেফটেন্যান্টের পক্ষে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সাফাই গাওয়ার দৃশ্য। এ দৃশ্যটির পর ৭১-এর বাংলাদেশ – নদীর তীর, গ্রাম ও জনপদে ছড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তানিদের গণহত্যার শিকার নারী-পুরুষ-শিশুসহ অসংখ্য মানুষের লাশ। চারদিকে লাশের স্তূপ। কারো চোখ উপড়ানো, কারো মাথার খুলি উড়ে গিয়ে মগজ বের হয়ে থাকা লাশ। মৃতদেহ কুকুর খাচ্ছে। এ-সময় নেপথ্য থেকে শোনা যায় জাতিসংঘের আশাবাদের কথা, মানবাধিকারের কথা, যা তথ্যচিত্রের নির্মাতা জহির রায়হানের কাছে পরিহাস বলে মনে হয়েছে।
পরবর্তী দৃশ্যে দেখা যায় আতঙ্কিত মানুষের দীর্ঘ মিছিল। শিশু থেকে বৃদ্ধ জীবন বাঁচানোর তাগিদে সীমান্তের দিকে ছুটছে। ১৬ বছরের একজন কিশোরীর ওপর ক্যামেরা স্থির হয়। কিশোরীর চোখে যেন মৃত মানুষের দৃষ্টি, শুধু তার ঠোট কাঁপছিল। জানা যায় তার ওপর ৬ পাকিস্তানি সেনাসদস্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। গণধর্ষণের শিকার এ মেয়েটির সামনেই বাবা, চাচা ও দুইভাইকে হত্যা করেছিল হায়েনারা। এরপর থেকে সে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। জেনারেল ইয়াহিয়া কর্তৃক এ নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড-লুটপাটের বিষয়টি নাদির শাহ, তৈমুর লং, সুলতান মাহমুদ, মুসোলিনি বা হিটলারের বর্বরতার চেয়ে অধিক ভয়াবহ বলে স্টপ জেনোসাইড-এ উল্লেখ করা হয়েছে।
পরের দৃশ্যে গ্রামের মানুষের ওপর বীভৎস নির্যাতনের চিত্র দেখানো হয়েছে রাজশাহীর ৮০ বছরের একজন বৃদ্ধা বর্ণনা করেছেন ‘আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়ে গ্রামের ২০ জনকে হত্যা করেছে পাকিস্তানিরা, আবার লাইনে দাঁড় করিয়ে পাখির মতো হত্যা করেছে অসংখ্য মানুষকে। ফরিদপুরের বিনোদ বিহারী ২৫৩ জন নারী-পুরুষ-শিশু হত্যার বর্ণনা দেন। দিনের পর দিন পাকিস্তানিদের ভয়ঙ্কর রূপ দেখে মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে সীমান্তের অপর পারে শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিতে ছুটছে।
এরপর তথ্যচিত্রে দেখানো হয় প্রবল বর্ষার কষ্টকে উপেক্ষা করে শরণার্থীদের মিছিল এগিয়ে যাচ্ছে সীমান্তের দিকে। মানুষের মিছিলে ৯০ বছরের একজন বৃদ্ধ – যার চলার শক্তি নেই, চোখে প্রায় কিছুই দেখেন না – বেঁচে থাকার আশায় লাঠিহাতে হামাগুড়ি দিতে-দিতে শরনার্থীদের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বারবার একটা কথাই বলছিলেন ‘সব গেছে, কেউ নেই, কিছু নেই।’ এ শরণার্থী শিবির-এ আশ্রয় নেয়া পাকহানাদারদের কর্তৃক ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের এক নির্বাক কিশোরী ও বেদনার্ত অন্যান্যদের দেখে জহির রায়হানের মনে হয়েছিল, অত্যাচারের চরম যন্ত্রণা সহ্য করতে-করতে তারা যেন ‘অত্যাচারের ভাস্কর্য’ হয়ে গেছে। জহির রায়হান উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী একটি শরণার্থী শিবিরে গিয়েছিলেন সেই প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের কাছাকাছি। সুপ্রাচীন ভগ্ন প্রাসাদে অসংখ্য শরণার্থীর মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি ফুটে উঠেছে তথ্যচিত্রটিতে
এরপর চলচ্চিত্রকার মুক্তাঞ্চলের একটি মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। সেখানে ক্যাম্প কমান্ডার রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরিহিত গেরিলা যোদ্ধাদের। সেই গেরিলাদের চোখে-মুখে তিনি দেখেছিলেন দেশমাতৃকার প্রতি তীব্র ভালোবাসা।
চলচ্চিত্রকার বিশ্ববিবেকের কাছে দাবি জানান গণহত্যার বিচারের। জাতিসংঘের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ধারাভাষ্যে শোনা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আলজেরিয়া, ফিলিস্তিন, দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষদের ওপর এমন অত্যাচার হয়েছিল। বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর অত্যাচারিত সেই মানুষদের দলে। প্রতিবাদ শোনা যায় ‘এ অত্যাচার মেনে নেয়া যায় না’। চলচ্চিত্রকার বিশ্বের প্রতি আবেদন জানান বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এক কাতারে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানানোর— ‘গণহত্যা বন্ধ কর’- স্টপ জেনোসাইড।
১৯ মিনিট ৪ সেকেন্ডের স্বল্পদৈর্ঘ্যের এ তথ্যচিত্রটির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রণাঙ্গন, গণহত্যার নৃশংসতা, ধর্ষণ ও শরণার্থী শিবিরের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
স্টপ জেনোসাইড মুক্তি পাওয়ার পর এটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রেখেছিল। গণহত্যার ওপর নির্মিত প্রথম তথ্যচিত্র এটি। পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার কথা যাতে বিশ্ববাসী জানতে না পারে সেজন্য ঢাকা থেকে সকল বিদেশী সাংবাদিককে বের করে দিয়ে সংবাদপত্রের ওপর সেন্সরশিপ আরোপ করেছিল ইয়াহিয়ার সামরিক জান্তা। অবরুদ্ধ বাংলাদেশের গণমাধ্যমও ছিল অবরুদ্ধ। পাকিস্তানি সৈন্যদের তল্লাশি এড়িয়ে লন্ডনের দ্যা ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদক সাইমন ড্রিং- এবং বার্তা সংস্থা এপি-র আলোকচিত্রী মিশেল লরে ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের ছাদে লুকিয়ে ছিলেন। দুদিন পর ২৭শে মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার গণহত্যা, রাজারবাগ এলাকার গণহত্যা, ধানমন্ডি এলাকার গণহত্যাসহ বিভিন্ন এলাকার হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের আলামত স্বচক্ষে দেখেছিলেন। সাইমন ড্রিং-এর ভাষায় ‘আমি আরো যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করেছি, কিন্তু এমন বর্বর ও বীভৎস হত্যাকাণ্ড আর কোথাও দেখিনি। ২৫শে মার্চের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের সচিত্র খবর বিশ্ববাসী জানতে পারেন ৩০শে মার্চ সাইমন ড্রিং কর্তৃক প্রেরিত সচিত্র প্রতিবেদন থেকে। সে সময় অনুমান করা হয়েছিল মার্চ-এপ্রিলে নিহতের সংখ্যা তিন থেকে পাঁচ লক্ষ। এরপর ৮ মাস ধরে চলেছে নির্বিচারে লোমহর্ষক গণহত্যা। এদিক দিয়ে বিবেচনা করলে স্টপ জেনোসাইড তথ্যচিত্রটি বাংলাদেশের গণহত্যার প্রধান সেলুলয়েড ডকুমেন্ট।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা ও পাশবিক অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য এক কোটি মানুষ ১৯৭১ সালে বাস্তুভিটা ত্যাগ করে ভারতে শরণার্থী হয়েছিল। তথ্যচিত্রটিতে দেশত্যাগের সেই ঢল দেখা গেছে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার সেকথা অস্বীকার করেছিল। তারা বলেছিল, গণহত্যা হয়নি, কোনো শরণার্থী ভারতে যায়নি তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী-র মুখপত্র সংগ্রাম পত্রিকাটি একই প্রচার চালিয়েছিল। স্টপ জেনোসাইড তথ্যচিত্রটি জ্বলন্ত উদাহরণ টেনে এ মিথ্যাচারকে ম্লান করেছে।
পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন, দেশের ভেতর মুক্তিযুদ্ধকালীন অবস্থা, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের উদাহারণ, গণহত্যা ও ধর্ষিতাদের বেদনার কথা আলোচ্য তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের বেদনা ও ত্যাগের ইতিহাস। স্টপ জেনোসাইড তথ্যচিত্রের পরিপ্রেক্ষিতে গণহত্যার স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে জোরালো মতামত সৃষ্টি হয়েছে, মানুষের বোধকে শাণিত করেছে। এদিক বিবেচনায় স্টপ জেনোসাইড একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুগোত্তীর্ণ দলিল।
তথ্যচিত্রটি নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করেছিল ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলী সমিতি এবং বাংলাদেশ লিবারেশন কাউন্সিল অফ ইন্টেলিজেন্টশিয়া। শৈল্পিক দূরদর্শিতায় স্টপ জেনোসাইড একটি অসামান্য সৃষ্টি। উল্লেখ্য, তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে দান করা হয়েছিল। [মেসবাহ কামাল ও জান্নাত-এ-ফেরদৌসী]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড