You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.08.13 | সোনারগাঁ পার্ক অপারেশন (সোনারগাঁ নারায়ণগঞ্জ) - সংগ্রামের নোটবুক

সোনারগাঁ পার্ক অপারেশন (সোনারগাঁ নারায়ণগঞ্জ)

সোনারগাঁ পার্ক অপারেশন (সোনারগাঁ নারায়ণগঞ্জ) পরিচালিত হয় ১৩ই আগস্ট রাতে সোনারগাঁর প্রথম থানা কমান্ডার আব্দুল মালেক (হামসাদী, বৈদ্যেরবাজার, সোনারগাঁ)-এর নেতৃত্বে। এদিন থানা সংগঠক সুলতান আহমেদ বাদশা (দুলালপুর, সোনারগাঁ পৌরসভা), মোশারফ হোসেন (বরিশাল), কাজী রফিক (অর্জুনদি, সোনারগাঁ পৌরসভা), মীর মোতাহার (চিলারবাগ, সোনারগাঁ পৌরসভা), সোনারগাঁর সহকারী গ্রুপ কমান্ডার হাবিবউল্লাহ (পঞ্চবটী, সোনারগাঁ), হাসমত (বানামগাবতলী, সোনারগাঁ), শামসু (সাদিপুর ইউনিয়ন, সোনারগাঁ), আব্দুল খালেক (সম্মান্দি, সোনারগাঁ), শফিকুর রহমান (বোলপাড়া, সোনারগাঁ), আব্দুল বাতেন মোল্লা (আদমপুর সোনারগাঁ পৌরসভা), কমান্ডার মো. আলীর গ্রুপ (পিরোজপুর ইউনিয়ন, সোনারগাঁ)-এর আউয়াল (ঝাউচর, সোনারগাঁ), মজিবর রহমান (ঐ), সোহেল (ঐ), সিরাজ মাস্টার (সম্মান্দি, সোনারগাঁ), মো. আনোয়ার হোসেন (দত্তপাড়া, সোনারগাঁ পৌরসভা), মোমিন (পানামনগর, সোনারগাঁ) প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা হালিম মেম্বারের বাড়িতে মিলিত হয়ে পাকিস্তানিদের স্বাধীনতা দিবস পালন বানচাল করার জন্য সোনারগাঁ পার্কে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তাঁরা হালিম মেম্বারের বাড়ির সামনে অর্জুনদি ঘাট থেকে নৌকাযোগে আদমপুর আসেন। সেখান থেকে চিলারবাগে দেলোয়ার হোসেন কামালের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এখান থেকে পাকসেনাদের অবস্থান ও গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য অপারেশন স্থল রেকি করা হয়। তারপর চিলারবাগ থেকে পায়ে হেঁটে মুক্তিযোদ্ধারা রাত ১০টার দিকে সোনারগাঁ পার্কে আসেন।
কমান্ডার আব্দুল মালেকের নির্দেশে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা একটি ধানক্ষেতে পজিশন নেন। এর পূর্বে মুক্তিযোদ্ধারা চার স্থানে চারটি মাইন পুঁতে রাখেন- একটি সোনারগাঁ থানার রাস্তার মাথায়, একটি সিএনবি রোডের মাথায়, একটি আমগাছের তলায় এবং একটি পার্ক থেকে পানাম রাস্তার মাথায়। পাকসেনারা সোনারগাঁ থানা থেকে সিএনবি রোডের দিকে জিপে করে আসার সময় প্রথম মাইনটি বিস্ফোরিত হয়। এতে জিপটি উল্টে যায় এবং ৪-৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। পেছনের আরেকটি জিপ থেকে পাকসেনারা এলোপাতাড়ি গুলি করলে মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন পাকসেনাদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে মারেন। ভোর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা এম্বুশ করে অবস্থান করেন। অবশেষে পাকসেনারা পিছু হটলে মুক্তিযোদ্ধারাও সরে আসেন। [রীতা ভৌমিক]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড