সুখানপুকুর রেললাইন অপারেশন (গাবতলী, বগুড়া)
সুখানপুকুর রেললাইন অপারেশন (গাবতলী, বগুড়া) পরিচালিত হয় ১৩ই নভেম্বর। এ অপারেশনে হানাদার বাহিনীর একটি ট্রেন বিধ্বস্ত এবং বগুড়ার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে গুপ্তচর নুরুল ইসলামের মাধ্যমে খবর আসে যে, হানাদার বাহিনীর বড় একটি রসদের চালান রেলওয়ের মাধ্যমে সরবরাহ হতে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানিদের এ রসদ সরবরাহ আটকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমিন বাবলুসহ ২০ জনের একটি দল ছোটছোট তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়। প্রথম দলটি সুখানপুকুর রেল স্টেশনের দক্ষিণ পাশে, দ্বিতীয় দলটি সুখানপুকুর রেল স্টেশনের উত্তর পাশে এবং তৃতীয় দলটি সরাসরি আক্রমণের জন্য নওয়াপাড়ায় অবস্থান নেয়। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের ওপর প্লাস্টিকে মোড়া বিস্ফোরক দ্রব্য পুঁতে রেখে শত্রুর রসদ সরবরাহের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। ঘটনার দিন পাকিস্তানি সৈন্যদের একজন হাবিলদারসহ ২০-২৫ জনের একটি দল রসদ সামগ্রী নিয়ে রেলযোগে রওনা করে। দুপুর আড়াইটার দিকে ট্রেন আসার সঙ্গে-সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমিন বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণ ঘটান। এতে ট্রেনের তিনটি বগি বিধ্বস্ত হয়ে খাদে পড়ে যায়। ফলে সুখানপুকুরের সঙ্গে বগুড়ার রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। [আহমেদ শরীফ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড