You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.15 | সিহিপাশা হাওলাদার বাড়ি গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল) - সংগ্রামের নোটবুক

সিহিপাশা হাওলাদার বাড়ি গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল)

সিহিপাশা হাওলাদার বাড়ি গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১৫ই মে। এতে কয়েকজন গ্রামবাসী প্রাণ হারায়।
১৪ই মে গৌরনদী উপজেলার দোনারকান্দিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে হেরে ১৫ই মে হানাদার বাহিনী দক্ষিণ সিহিপাশা গ্রামে প্রতিশোধমূলক হামলা এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। স্থানীয় রাজাকার নুরু খানের সহযোগিতায় তারা এ-সময় হাওলাদার বাড়িতে প্রবেশ করে গণহত্যা চালায়। স্থানীয় হাওয়া বেগম এ গণহত্যার একজন প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি ৫ মাসের শিশুপুত্রকে বুকে নিয়ে বাঁচার জন্য বাড়ির পেছনে পুকুরপাড়ে ঝোপের আড়ালে দাড়িয়ে তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি, ২ জন দেবর, জা এবং একজন দেবরের ৫ বছরের পুত্রের নির্মম হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেন। রাতে হাওয়া বেগমসহ কয়েকজন মিলে লাশগুলো গণকবর দেন। হাওলাদার বাড়ির এ গণহত্যায় আরো কয়েকজন এলাকাবাসী শহীদ হন। শহীদদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- সিহিপাশার কামিজ উদ্দিন হাওলাদার (৫৫) (পিতা এসাম উদ্দিন হাওলাদার), জামিল উদ্দিন হাওলাদার (৩৫) (পিতা এসাম উদ্দিন হাওলাদার), রূপবান বিবি (স্বামী কামিজ উদ্দিন), সামসুদ্দিন হাওলাদার (পিতা কছিম উদ্দিন হাওলাদার), বরু বিবি (৩৫) (স্বামী সামসুদ্দিন হাওলাদার), জালাল হাওলাদার (৫) (পিতা সামসুদ্দিন হাওলাদার), আবেদ আলী হাওলাদার (৩৫) (পিতা সোনামুদ্দিন হাওলাদার), আনোয়ার হাওলাদার (১০) (পিতা আবেদ আলী হাওলাদার) ও হালিমা (১৫) (পিতা কমিজুদ্দিন হাওলাদার)। [মনিরুজ্জামান শাহীন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড