সারাংপুর গণহত্যা (নাগরপুর, টাঙ্গাইল)
সারাংপুর গণহত্যা (নাগরপুর, টাঙ্গাইল) সংঘটিত হয় ৬ই জুলাই। এতে ৭ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হন। টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম সারাংপুর। নাগরপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এ গ্রামে পাকবাহিনী ৬ই জুলাই গণহত্যা চালায়। তারা সারাংপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তি খন্দকার লুৎফর রহমান মিন্টু (স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত)-কে গ্রেপ্তারের জন্য যায়। কিন্তু তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার ভাইদের আটক করে। এমন সময় খন্দকার লুৎফর রহমান মিন্টু বাড়ি এলে পাকবাহিনী তাকে আটক করে নাগরপুর সদর থানায় স্থাপিত হানাদার ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং ভাইদের ছেড়ে দেয়। ঐদিন সন্ধ্যায় হানাদাররা লুৎফর রহমান মিন্টুকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় খন্দকার মতিউর রহমানের পুত্র বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মুকুল হোসেন মুকুলের সন্ধানে সারাংপুরে আসে। কিন্তু তাকে বাড়িতে না পেয়ে ঐ পরিবারের ৫ জনসহ মোট ৭ জনকে হত্যা করে। এ সময় কৌশলে খন্দকার লুৎফর রহমান মিন্টু পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। সেদিনের গণহত্যায় যারা শহীদ হন, তারা হলেন— খন্দকার মতিউর রহমান (পিতা খন্দকার আব্দুল হামিদ), খন্দকার আলতাব হোসেন (পিতা খন্দকার আব্দুল হামিদ), খন্দকার হারুণ-অর-রশিদ (পিতা খন্দকার আব্দুল হামিদ), খন্দকার আনোয়ার হোসেন (পিতা খন্দকার আব্দুল হামিদ), খন্দকার জিন্নাহ (পিতা খন্দকার আব্দুল হামিদ), আব্দুল লতিফ মিঞা ও সুব্রত সাহা। নিহতদের সারাংপুরে গণকবর দেওয়া হয় এবং সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। [শফিউদ্দিন তালুকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড