You dont have javascript enabled! Please enable it!

সারিয়াকান্দি থানা অপারেশন (বগুড়া)

সারিয়াকান্দি থানা অপারেশন (বগুড়া) পরিচালিত হয় দুদিন – ২৮শে নভেম্বর ও ২৯শে নভেম্বর। এতে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অপরপক্ষে বেশ কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয় এবং ৫৩ জন রাজাকার ও ১৯ জন পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দি হয়। এ-যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সারিয়াকান্দি থানা হানাদারমুক্ত হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণে সারিয়াকান্দিতে পাকিস্তানি হানাদারদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে এবং মুক্তিবাহিনীর মনোবল চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ২৮শে নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সারিয়াকান্দি থানা আক্রমণ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন আব্দুল হাসিম বাবলু (নারচী), আব্দুর রশিদ (নারচী), তোফাজ্জল হোসেন মকবুল (চর হরিয়া), আব্দুর রাজ্জাক (হুয়াকুয়া), মহসিন (রামচন্দ্রপুর), সরুজ্জামান (মৌর চর) ও আনছার আলী (কুতুবপুর)। এ অপারেশনে ৭নং সেক্টর ও সারিয়াকান্দির মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদারদের ওপর প্রবল গোলাবর্ষণ করেন। হানাদার বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ চালিয়ে যান। বেলা ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্রাশ ফায়ারে কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। অন্যদিকে পাকিস্তানি সৈন্যদের গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, মমতাজউদ্দিন ও মোজাম্মেল হক শহীদ হন।
২৯শে নভেম্বর সকাল ৮টায় মুক্তিযোদ্ধারা সারিয়াকান্দি থানা পুনরায় আক্রমণ করেন। হানাদার বাহিনী পাল্টা আক্রমণ করলে যুদ্ধ শুরু হয়। সারাদিন প্রচণ্ড গোলাগুলি চলতে থাকে। এতে বেশ কয়েকজন রাজাকার এবং থানার অফিসার ইনচার্জসহ ১৮ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। এক পর্যায়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায় এবং ৫৩ জন রাজাকার ও ১৯ জন পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দি হয়। এ-যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সারিয়াকান্দি থানা হানাদারমুক্ত হয়। [আহম্মেদ শরীফ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!