সাধনপুর গণহত্যা (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম)
সাধনপুর গণহত্যা (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ১৯শে মে। এ গণহত্যায় ১০ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঁশখালীতে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশীয় দোসর রাজাকার আলবরদের সহযোগিতায় নির্বিচারে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণহত্যা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ১৯শে মে উপজেলার সাধনপুর গ্রামে আক্রমণ করে এবং গণহত্যা চালায়। হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের ১০ জন নর-নারী এ গণহত্যার শিকার হন। তারা হলেন— সাধনপুর গ্রামের মো. ফজলুল করিম চৌধুরী (পিতা ওবেদুল হক চৌধুরী), দীজেন্দ্র চক্রবর্তী (পিতা রামা চরণ চক্রবর্তী), বাবুল নন্দী (পিতা জয়চন্দ্র নন্দী), নিখিল দাশ (পিতা যতীন্দ্র লাল দাশ), মৃদুল নন্দী (পিতা যতীন্দ্ৰ লাল নন্দী), অজিত বিশ্বাস (পিতা রেবতী বিশ্বাস), সরোজ কান্তি চৌধুরী (পিতা যতীন্দ্র লাল চৌধুরী), সুধীর রুদ্র (পিতা দেউলা রুদ্র), মনোরমা চক্রবর্তী (পিতা রায় বিনোদ চৌধুরী) ও বাণী চক্রবর্তী (পিতা শরৎ চন্দ্র চক্রবর্তী)। বাঁশখালী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে সাধনপুর হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় ২০১৪ সালের ১০ই অক্টোবর একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে শহীদদের নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড