সাজাপুর মাদ্রাসা ক্যাম্প অপারেশন (শাজাহানপুর, বগুড়া)
সাজাপুর মাদ্রাসা ক্যাম্প অপারেশন (শাজাহানপুর, বগুড়া) পরিচালিত হয় ৮ই ডিসেম্বর। এতে ২০ জনের অধিক রাজাকার নিহত হয় এবং পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা মাদ্রাসা ক্যাম্প ছেড়ে চলে যায়।
বগুড়া শহর থেকে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ফুলতলায় সাজাপুর মাদ্রাসা অবস্থিত। মাদ্রাসাটি পাকবাহিনীর একটি অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পাকবাহিনীর দোসর রাজাকাররাও এখানে অবস্থান করত। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে লোকজন ধরে এ ক্যাম্পে এনে নির্যাতন করত। এর প্রতিশোধ নিতে মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্পটি আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৮ই ডিসেম্বর ভোরবেলায় ৫০-৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে মাদ্রাসার উদ্দেশে রওনা হন। দলগুলোর নেতৃত্ব দেন আব্দুস সবুর, জহুরুল ইসলাম, সাবেরী, আবুল ফজল ও নজীবুর রহমান। মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭টায় মাদ্রাসায় পৌঁছে উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থান নিয়ে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এ-সময় পাকসেনা ও রাজাকাররা মাদ্রাসার ভেতরে অবস্থান করছিল। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের আগমন তারা টের পায়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের আতর্কিত আক্রমণে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পালানোর চেষ্টা করলে রাজাকার বাহিনীর ২০ জনের অধিক সদস্য নিহত হয়। এ অভিযানের ফলে পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা মাদ্রাসা ক্যাম্প ছেড়ে চলে যায়। [সাহিদুর রহমান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড