শ্রীরামকাঠি গণহত্যা (নাজিরপুর, পিরোজপুর)
শ্রীরামকাঠি গণহত্যা (নাজিরপুর, পিরোজপুর) সংঘটিত হয় ২৪শে মে। এতে ১০ জন সাধারণ মানুষ নির্মম হত্যার শিকার হন।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকারদের সহযোগিতায় ২৪শে মে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি বাজারে এক নৃশংস গণহত্যা চালিয়ে ১০ জন মানুষকে হত্যা করে। তাদের সবাই ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের। এদিন গণহত্যায় শহীদরা হলেন- যুধিষ্ঠির কর্মকার (পিতা অশ্বিনী কর্মকার), ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (পিতা মতিলাল চক্রবর্তী), সুখরঞ্জন বণিক (পিতা কার্তিক বণিক), চিত্তরঞ্জন সমদ্দার (পিতা মতিলাল সমদ্দার), নিবারণ মাঝি (পিতা প্যারিমোহন মাঝি), সতীশ চন্দ্র ঘরামী (পিতা দুর্গাচরণ ঘরামী), মুকুন্দ মণ্ডল (পিতা নন্দকুমার মণ্ডল), মনোহর মাঝি (পিতা প্রসন্ন কুমার মাঝি), সুধন্য সিকদার (পিতা কৈলাশ সিকদার, জীবগ্রাম) ও মহানন্দ মণ্ডল (পিতা যাদব মণ্ডল, জীবগ্রাম)।
হানাদার বাহিনী ১লা জুন শ্রীরামকাঠি মধ্য জয়পুর গ্রামে ৫ জনকে হত্যা করে। এদিনের গণহত্যায় শহীদরা হলেন- গৌরাঙ্গ পাল (পিতা দেবেন্দ্রনাথ পাল), অনন্ত (পিতা রাজকুমার), বিমল ধর (পিতা কালীপদ ধর), সত্যরঞ্জন মিস্ত্রী (পিতা বসন্ত কুমার মিস্ত্রী) ও হরেকৃষ্ণ মাঝি। এছাড়াও ৬ই অক্টোবর বলিবাবলায় রাজাকারদের হাতে শহীদ হন শ্রীরামকাঠি গ্রামের রতন হালদার ওরফে কানু (পিতা কৃষ্ণকান্ত হালদার), ধীরেন্দ্রনাথ হালদার (পিতা ষষ্ঠিচরণ হালদার), মাখন লাল হালদার (পিতা প্রসন্ন কুমার হালদার), কদম বালা শীল (স্বামী যোগেন্দ্রনাথ শীল) প্রমুখ। [শফিউদ্দিন তালুকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড