শ্রীরামপুর যুদ্ধ (মহেশপুর, ঝিনাইদহ)
শ্রীরামপুর যুদ্ধ (মহেশপুর, ঝিনাইদহ) সংঘটিত হয় অক্টোবর মাসের শেষদিকে। এতে ৩ জন পাকসেনা ও ১৪ জন রাজাকার নিহত হয়।
গাড়াবাড়িয়া পাকিস্তানি আর্মি ক্যাম্পটি ছিল মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের নিকটবর্তী। তা সত্ত্বেও ভারত থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা এ-পথেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতেন। তাই তাঁদের প্রতিহত করার জন্য পাকবাহিনী ও রাজাকাররা এ গ্রামের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া সড়কে টহল দিত। ঘটনার দিন বেলা ১২টার দিকে শত্রুবাহিনীর টহল- পথে বেতনা নদীর পাশে বাথানগাছি ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধারা এম্বুশ গড়ে তোলেন। পাকসেনা ও রাজাকাররা এম্বুশ এলাকায় প্রবেশ করলে কমান্ডার আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ করেন। হানাদাররাও পাল্টা আক্রমণ করে। এ-যুদ্ধের খবর পেয়ে মুড়োতলার তবীবর রহমান নীলু ও গোলাম মোস্তাফাসহ ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা পশ্চিম দিকে বেতনার পাড়ে রশিদ আমীনের বাড়ির আমবাগানে অবস্থান নিয়ে হানাদারদের প্রতি গুলি চালান। তবীবুর রহমান নীলু একজন পাকসেনাকে গাছের আড়ালে দেখতে পেয়ে গোলাম মোস্তফাকে গুলি করতে বলেন। গোলাম মোস্তফা গুলি করলে সে নিহত হয়। এ-যুদ্ধে মোট ৩ জন পাকসেনা ও ১৪ জন রাজাকার নিহত হয়। বেলা ১টার দিকে অবশিষ্ট পাকসেনা ও রাজাকাররা গাড়াবাড়িয়া ক্যাম্পে ফিরে যায়। [অশোক বিশ্বাস]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড