মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘সংশপ্তক’ (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার)
সংশপ্তক (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার) মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এবং আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চেতনাকে দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয় স্মারক ভাস্কর্য ‘সংশপ্তক’। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক পায়ের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে এ ভাস্কর্যটি।
সংশপ্তক হলেন সেসব যোদ্ধা, যাঁরা যুদ্ধে গিয়ে পেছনে তাকান না, মরণপণ যুদ্ধ করেন। মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করা তাঁদের স্বপ্ন, শত্রুর বুলেটের সামনেও জীবন তাঁদের কাছে তুচ্ছ। সংশপ্তক ভাস্কর্যে প্রতিফলিত হয়েছে এসব যোদ্ধার দৃঢ় অঙ্গীকার। যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত ও এক পা হারিয়েও রাইফেল হাতে লড়ে যাচ্ছেন দেশমাতৃকার এক বীর সন্তান, এ ভাস্কর্যটিতে তা তুলে ধরা হয়েছে। সংশপ্তক-এর ভাস্কর শিল্পী হামিদুজ্জামান খান। শিল্পী ভাস্কর্যটিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্রোঞ্জের শরীরে প্রতীকী ব্যঞ্জনায় তুলে ধরেছেন। মূল ভূমি থেকে ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১৫ ফুট। মূল ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্জ ধাতুতে তৈরি। এছাড়া এটি নির্মাণে লাল সিরামিক ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ১৯৯০ সালের ২৬শে মার্চ এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সালেহ আহমেদ। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড