শ্যামপুর গণহত্যা (বাকেরগঞ্জ, বরিশাল)
শ্যামপুর গণহত্যা (বাকেরগঞ্জ, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১৬ই নভেম্বর। এতে ৩৫ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
বাকেরগঞ্জ সদর থেকে ৪ কিমি দক্ষিণে শ্যামপুর ইউনিয়নের অবস্থান। পাকিস্তানি বাহিনী ইউনিয়নের সাবেক জমিদার নাটু বাবুর বাড়ির ব্রিজের পাশে তালতলায় ১৬ই নভেম্বর গণহত্যা চালায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যায় আতঙ্কগ্রস্ত বেশকিছু লোকজন নাটু বাবুর বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করে। স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতা হাশেম চেয়ারম্যানের মাধ্যমে হানাদার বাহিনী এ খবর জানতে পারে। ১৫ই নভেম্বর তারা লঞ্চযোগে বাকেরগঞ্জ আসে। তারা বাজারে প্রবেশ করে দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর হানাদাররা তিনদিক থেকে শ্যামপুর বাজার আক্রমণ করে গণহত্যা চালায়। এ গণহত্যায় একই পরিবারের ৪ সহোদরসহ শ্যামপুর বাজার, দেওকাঠী, রুনশী প্রভৃতি এলাকার প্রায় ৩৫ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। তাদের মধ্যে ১৯ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সোবাহান হাওলাদার, মুনছের আলী, মহব্বত আলী, বিনোদ দত্ত, কানু শীল, নারায়ণ ভূঁইমালী, আমজাদ হোসেন, ফজলে আলী, কাদের হাওলাদার, মুজাহার হাওলাদার, কদম আলী ডাকুয়া, সেকেন্দার আলী, জয়ধর আলী শেখ, ফয়জর আলী শেখ, কেরামত আলী শেখ, মোহাব্বত আলী শেখ, সৈয়দ হায়দার আলী, এলেম উদ্দীন ও বাদশাহ খান। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড