শ্যামপুর যুদ্ধ (বাকেরগঞ্জ, বরিশাল)
শ্যামপুর যুদ্ধ (বাকেরগঞ্জ, বরিশাল) ১৭ই নভেম্বর সংঘটিত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এ-যুদ্ধে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের সাবেক জমিদার পরিবারের নাটু বাবুর পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যাপ্টেন নাসির, খান আলতাফ হোসেন ভুলু, ঝন্টু দাস, আবেদ মোল্লা, সত্তার মাস্টার, সত্তার হাওলাদার প্রমুখের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা শ্যামপুর হাইস্কুলে বাকেরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলীয় সবচেয়ে বড় ক্যাম্প স্থাপন করেন। আগরতলা মামলার ৯নং আসামি হাবিলদার দলিল উদ্দিন ও সেনাসদস্য সত্তার হাওলাদার অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পে যোগ দেন। প্রায় দেড়শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা এ ক্যাম্পে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে থাকেন। অপরদিকে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ১৩ই নভেম্বর সুবেদার আবদুল করিমের নেতৃত্বে ২১ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধা দল এ ক্যাম্পে যোগ দেয়। এরপর তাঁরা কয়েকটি অপারেশনের পরিকল্পনা করেন। তারা ১৭ই নভেম্বর খুব সকালে শ্যামপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে অতর্কিতে আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা জবাব দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ভারী অস্ত্রের মুখে টিকতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটেন। যুদ্ধে টমাস আশীষ বেপারী (বরিশাল)-সহ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড