শিয়ালকাঠী গণহত্যা (বানারীপাড়া, বরিশাল)
শিয়ালকাঠী গণহত্যা (বানারীপাড়া, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১০ই নভেম্বর। এতে ১২ জন মানুষ শহীদ হন।
বানারীপাড়া উপজেলা সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর ওপারের গ্রাম শিয়ালকাঠী। সন্ধ্যা নদী দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী গানবোটে করে প্রায়ই টহল দিত এবং বিভিন্ন এলাকা আক্রমণ করে লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যা চালাত। গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধারা গানবোট লক্ষ করে গুলি ছুড়লে ক্ষিপ্ত হয়ে পাকিস্তানি সেনারা ১০ই নভেম্বর শিয়ালকাঠী খেয়াঘাটে গানবোট থামায়। এ গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প আছে মনে করে তারা শিয়ালকাঠী খেয়াঘাট, বাজার ও গ্রাম আক্রমণ করে এবং গণহত্যা চালায়। তারা বাজারে লুণ্ঠন এবং অগ্নিসংযোগ করে দোকানপাট পুড়িয়ে দেয়। তারা শিয়ালকাঠী গ্রামের বেপারী বাড়ি, ফকির বাড়ি ও তালুকদার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। শিয়ালকাঠী গ্রাম গণহত্যায় ১২ জন মানুষ শহীদ হন। তাদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের বেপারী (পিতা এনসের বেপারী, শিয়ালকাঠী), হাশেম বেপারী (পিতা সবতার বেপারী, শিয়ালকাঠী), মন্নান বেপারী (পিতা মনসুর বেপারী, শিয়ালকাঠী), ইউসুফ বেপারী (পিতা কামিনউদ্দিন বেপারী, শিয়ালকাঠী), মোসলেম বেপারী (শিয়ালকাঠী), মোহাম্মদ বেপারী (পিতা ধলু বেপারী, শিয়ালকাঠী), ফয়জর আলী (পিতা তাছেন আলী), ইউসুফ ফকির (পিতা কুদরতউল্লাহ ফকির, শিয়ালকাঠী) ও মো. কালু তালুকদার (পিতা ওয়াজেদ তালুকদার, শিয়ালকাঠী)। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড