You dont have javascript enabled! Please enable it!

শিয়ালবুক্কা যুদ্ধ (ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম)

শিয়ালবুক্কা যুদ্ধ (ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ৭ই এপ্রিল। এদিন ১৮ জন পাকসেনা মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট আত্মসমর্পণ করে।
২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্যাপক গণহত্যার মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহর দখল করে। এদিকে প্রতিরোধযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশাল একটি দল কালুরঘাটের বিপরীতে অবস্থান নেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আরেকটি বিশাল দল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে পেছনে সরে গিয়ে কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে ফটিকছড়ি থেকে রামগড় পর্যন্ত সড়কের নানা স্থানে পাহাড়ি এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকে। তন্মধ্যে ইপিআর বাহিনীর নায়েব সুবেদার আবদুল লতিফ নিজ দল নিয়ে ফটিকছড়ির শিয়ালবুক্কা এলাকায় অবস্থান নেন। ঘটনার দিন ঐ পথ দিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর লে. কর্নেল আবদুল আজিজ শেখ এবং ১১নং উইং কমান্ডার মেজর ইকবালসহ ১৮ জনের একটি সশস্ত্র দল রামগড়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। সুযোগ বুঝে নায়েব সুবেদার আবদুল লতিফ তাঁর ইপিআর দলটি নিয়ে অতর্কিতে তাদের লক্ষ করে ঝড়ের বেগে গুলি ছুড়তে শুরু করেন। পাকসেনারাও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষে শুরু হয় ব্যাপক যুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পাকসেনারা বিপদে পড়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে তাদের বারবার আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কোনো উপায় না দেখে এক পর্যায়ে তারা প্রাণ বাঁচাতে আত্মসমর্পণ করে। এরপর তাদের রামগড় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে পাঠানো হয় সেখানে মেজর জিয়া ও ক্যাপ্টেন রফিক উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীকালে তাদের ভারতীয় সামরিক কর্তৃপক্ষের নিকট সমর্পণ করা হয়। [জামাল উদ্দিন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!