শাহবাজপুর গণহত্যা (সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
শাহবাজপুর গণহত্যা (সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংঘটিত হয় মে মাসের প্রথম দিকে। এতে ৯ জন গ্রামবাসী শহীদ হন।
ঘটনার দিন পাকিস্তানি বাহিনী শাহবাজপুর গ্রাম আক্রমণ করে। তারা সারা গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৯ জন প্রৌঢ় ও বৃদ্ধকে ধরে নিয়ে যায় এবং পৈশাচিক উল্লাসে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়। অতঃপর তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। হানাদাররা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় কিছু লোক এসে গর্ত খুঁড়ে মৃতদেহগুলো কোনমতে সমাহিত করে। দেশ শত্রুমুক্ত হবার পর ১৯৭২ সালে নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ি ফিরে এসে এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। কিন্তু সে মামলা আর বেশি দূর অগ্রসর হয়নি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কবর খুঁড়ে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘদিন পর লাশ ওঠানো হলেও শহীদদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়। এখানকার শহীদরা হলেন— বৈকুণ্ঠ নাথ, মহেশ্বরী দাসী, তারিণী দাস, কৌশল্যা দাসী, জগৎ মোহন দাস, প্রহ্লাদ দাস, শচীন্দ্র চন্দ্র দাস, মুক্তময়ী দাসী এবং বিধুমুখী দেবী। এছাড়া হানাদাররা শাহবাজপুরের তুলা বাদশা ও বিশু মিয়াকে হত্যা করে ওয়াপদা রেস্ট হাউজের উত্তর-পশ্চিম দিকে কবর দেয়। [জয়দুল হোসেন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড