শিকারপুর-দোয়ারিকা ফেরিঘাট অপারেশন (উজিরপুর, বরিশাল)
শিকারপুর-দোয়ারিকা ফেরিঘাট অপারেশন (উজিরপুর, বরিশাল) পরিচালিত হয় ২৭শে জুলাই। এতে ১৮ জন পুলিশ ও রাজাকার আত্মসমর্পণ করে এবং মুক্তিযোদ্ধারা দুটি ফেরি ডুবিয়ে দেন।
ঢাকা-বরিশাল সড়কে সন্ধ্যা নদীর শিকারপুর ফেরিঘাট ও সুগন্ধা নদীর দোয়ারিকা ফেরিঘাট দক্ষিণ অঞ্চলের যোগাযোগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফেরিঘাটে নদীর দুপাড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শক্তিশালী ক্যাম্প স্থাপন করে। সেখানে রাজাকার, পুলিশ ও পাকিস্তানি সৈন্যরা সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকত। হানাদার বাহিনীর চলাচল বিচ্ছিন্ন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কমান্ডার আবদুল ওয়াদুদ সরদারের নেতৃত্বে নুরু কমান্ডার, রতন শরীফ, আ ন ম আবদুল হাকিমসহ মুক্তিযোদ্ধদের ২০-২৫ জনের সশস্ত্র একটি দল ২৭শে জুলাই রাতে প্রথম দোয়ারিকা ফেরিঘাট সংলগ্ন পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করেন। উভয় পক্ষের যুদ্ধের এক পর্যায়ে পাহারারত ১৮ জন পুলিশ ও রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযোদ্ধারা গুলি করে ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে দোয়ারিকা ফেরি ছিদ্র করে ডুবিয়ে দেন। এরপর তাঁরা শিকারপুর ফেরিঘাট আক্রমণ করে ঐ ফেরিটিও ডুবিয়ে দেন। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড