শান্তি কমিটি
শান্তি কমিটি ছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে সাহায্য-সহযোগিতা প্রদানে তাদের স্থানীয় দোসরদের নিয়ে গঠিত একটি বেসামরিক বাহিনী। পাকিস্তানে বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও পাকিস্তান সমর্থক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে এটি গঠিত হয়। এর মূল উদ্যোক্তা ছিল অধ্যাপক গোলাম আযম। সারাদেশে শান্তি কমিটির শাখা কমিটি ছিল।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ শান্তিকামী বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর অঘোষিত যুদ্ধ চাপিয়ে বাংলার মাটিতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা যে ভয়াবহ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রবাহ তৈরি করে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ৪ঠা এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযম, মুসলিম লীগ (খান এ সবুর), মুসলিম লীগ (কাউন্সিল), মুসলিম লীগ (কনভেনশন), নেজামে ইসলামী এবং পিডিপি-র ১২ জন নেতা পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ঘাতক লে. জেনারেল টিক্কা খানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য গভর্নর হাউজে তার সঙ্গে দেখা করে এবং পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে পাকিস্তান রক্ষায় তার ভূয়সী প্রশংসা করে।
টিক্কা খানের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে গোলাম আযম বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধকে ‘ভারতীয় হস্তক্ষেপ ও অনুপ্রবেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলে যে, ‘ভারতের এই অভিসন্ধি নস্যাৎ করার জন্য এদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করবে।’ একান্ত বৈঠকে টিক্কা খানের পরামর্শক্রমে গোলাম আযম Peace Committee (শান্তি কমিটি) গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এটি ছিল জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্ত।
ইসলামপন্থী তথা পাকিস্তানপন্থী হিসেবে যারা পরিচিত ছিল, তারা দেশের মাটিতে পাকিস্তানি সেনাদের বরণ করে নেয় এবং তারাই ছিল তথাকথিত শান্তি কমিটির সদস্য। শান্তি কমিটি গঠনের প্রস্তুতিকালে ৬ই এপ্রিল ঢাকায় খ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক তথা ৭১-এ গণহত্যার নেতৃত্বদানকারী লে. জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তার সাথে দেখা করে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরী, পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি গোলাম আযম, জামিয়াতে ওলামায়ে ইসলামের পূর্ব পাকিস্তান শাখার সভাপতি পীর মোহসেন উদ্দীন আহমেদ দুদু মিয়া, এডভোকেট এ টি সাদীসহ আরো ৮ জন। এরাই প্রথমে গণহত্যার সমর্থক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ই এপ্রিল টিক্কা খানের পরামর্শে নুরুল আমিন (পিডিপি), সৈয়দ খাজা খয়েরউদ্দীন (ঢাকার নবাব পরিবার ও কাউন্সিল মুসলিম লীগ নেতা) ও গোলাম আযমের উদ্যোগে ‘নাগরিক শান্তি কমিটি’ গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
৯ই এপ্রিল গোলাম আযম দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ১৪০ সদস্যবিশিষ্ট নাগরিক শান্তি কমিটি গঠন করে। এরই ধারাবাকিতায় সারা দেশে ইউনিয়ন, থানা এবং জেলা পর্যায়ে Peace Committee (শান্তি কমিটি) গঠিত হয়। তাদের সশস্ত্র করার জন্য গোলাম আযম পাকিস্তানি সামরিক শাসকচক্রকে বারবার তাগাদা দেয়। এই শান্তি কমিটি গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধকে প্রতিহত করা এবং তাদের সমর্থকদের নির্মূল করা।
কমিটির প্রথম বৈঠকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতম নরমেধ সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনগণকে ‘ইসলামবিরোধী’, ‘দুষ্কৃতিকারী” এবং “বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়৷
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে শান্তি কমিটি এবং আলবদরের গভীর সখ্যের বিষয়টি স্পষ্ট হয় নোয়াখালী জেলার জামায়াতের আমির মহিউদ্দীন চৌধুরীর আত্মকথায়। পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত SUN SET AT MIDDAY (Karachi 1998) শীর্ষক গ্রন্থের ৬৬ পাতায় লেখক উল্লেখ করে— ‘I was elected Secretray of District PDM [Pakistan Democratic Movement] and then District DAC [Democratic Action Committee]. I was selected Secretary and then elected as Amir of District Jamaat-e-Islami in 1968. I was holding the post of District Jamaat till dismemberment of East Pakistan in 1971. In 1971 when Peace Committee had been formed to cooperate with Pakistan Army to bring law and order in East Pakistan, I was again elected Secretary, District Amir of Jamaat-e-Islami, Peace Committee President’. উক্ত মহিউদ্দিন আলবদর বাহিনীরও অন্যতম সংগঠক ছিল। সে আলবদরের অন্যতম ঘাতক আশরাফুজ্জামান খানের সঙ্গে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল স্বাধীনতার পরপরই। এরপর ১০ই এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি খাজা খয়েরউদ্দীনকে শান্তি কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচন করা হয়। ১১ই এপ্রিল গোলাম আযম এক রেডিও ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামীদের দমনের জন্য সারাদেশে শান্তি কমিটির কার্যক্রম শুরুর আহ্বান জানায়।
এই কমিটি ১৩ই এপ্রিল ঢাকা শহরে সামরিক জান্তার পক্ষে একটি মিছিল বের করে। এই মিছিলে যারা নেতৃত্ব দেয়, তারা ছিল পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর প্রধান অধ্যাপক গোলাম আযম, কাউন্সিল মুসলিম লীগের সহ- সভাপতি এ কিউ এম শফিকুল ইসলাম, মুসলিম লীগ নেতা ও আইয়ুব সরকারের সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী খান এ সবুর, পিডিপি-র সহ-সভাপতি মৌলভী ফরিদ আহমদ ও মাহমুদ আলী, কৃষক শ্রমিক পার্টির প্রধান এ এস এম সোলায়মান, আব্দুল জব্বার খদ্দর, ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম, পূর্ব পাকিস্তান জামিয়তে ওলামায়ে ইসলাম প্রধান পীর মোহসেন উদ্দীন, আবুল কাসেম, সৈয়দ আজিজুল হক, ইউসুফ আলী চৌধুরী, ইসলামী ছাত্র সংঘ প্রধান মতিউর রহমান নিজামী, এডভোকেট এ টি সাদী, কবি বেনজীর আহমদ, মেজর আফসার উদ্দীন প্রমুখ।
এরপর ১৪ই এপ্রিল সংগঠকদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কমিটির লক্ষ্য ও কর্মপদ্ধতি পুনর্বিবেচিত হয়। ঐ তারিখে নাগরিক শান্তি কমিটির নতুন নামকরণ হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি।’ লে. জেনারেল টিক্কা খান ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী এমন অনেক নাগরিক জোট ও বাহিনী তৈরি করে মুক্তিকামী বাঙালিদের দমনে উদ্যোগী হয়। প্রদেশে তথাকথিত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার কথা বলে জেলা ও মহকুমা পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তারা সাধারণ মানুষকে পক্ষে নেবার চেষ্টা করে এবং শান্তি কমিটির ইউনিট গঠনে উদ্যোগী হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি নামে ২১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কার্যকর কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য ছিল- সৈয়দ খাজা খয়েরউদ্দীন, এ কিউ এম শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম আযম, মাহমুদ আলী, আব্দুল জব্বার খদ্দর, মওলানা সিদ্দিক আহমদ, আবুল কাশেম, মোহন মিয়া, মওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম, আব্দুল মতিন, অধ্যাপক গোলাম সারোয়ার, ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দিন, পীর মোহসেন উদ্দীন, এ এস এম সোলায়মান, এ কে রফিকুল হোসেন, নুরুজ্জামান, আতাউল হক খান, তোরাহা বিন হাবিব, মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আফসার উদ্দিন, দেওয়ান ওয়ারাসাত আলী এবং হাকিম ইরতেজাউর রহমান খান। ১৫ই এপ্রিল এপিপি পরিবেশিত খবরে বলা হয়- ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে শান্তি কমিটি নামে পরিচিত কমিটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি’ রাখা হয়েছে। এই শান্তি কমিটির সদস্যরা ১৬ই এপ্রিল নুরুল আমিনের নেতৃত্বে টিক্কা খানের সঙ্গে পুনরায় সাক্ষাৎ করে এবং পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করে।
২১শে এপ্রিল শান্তি কমিটির সাব-কমিটি গঠিত হয়। ঐ তারিখে সৈয়দ খাজা খয়েরউদ্দীনের সভাপতিত্বে কেন্দ্ৰীয় শান্তি কমিটির কার্যকর কমিটির যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঐ তারিখেই বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের কার্যক্রম বেগবান করবার জন্য ঢাকার মোহাম্মদপুরে স্থানীয় লোকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে অধ্যাপক গোলাম আযম, মাহমুদ আলী, আব্দুল জব্বার খদ্দর, আবুল কাশেম প্রমুখকে এ লক্ষ্যে বিশেষ দায়িত্ব প্রদান করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দৈনিক সংগ্রাম ২৫শে এপ্রিল এপিপি পরিবেশিত এই মর্মে সংবাদ প্রকাশ করে যে, হাবিবুল হকের পরিবর্তে মাহবুব রহমানকে লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তাছাড়া কমিটি ৩৭৫ উত্তর শাহজাহানপুরের ফজলুল হক, ১৫১ দক্ষিণ কমলাপুরের মইজুদ্দিন, ২২৫ মালিবাগের আব্দুল হাই, রমনা থানা এবং ২৩ সেন্ট্রাল রোডের মসিহুল ইসলাম ও আব্দুল খালেককে লালবাগ থানার সংযোগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়। কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির কার্যকর কমিটির দৈনন্দিন কার্য নির্বাহের জন্য একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা ছিল- এ কিউ এম শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম আযম, আব্দুল জব্বার খদ্দর, এ এস এম সোলায়মান, আবদুল মতিন ও সৈয়দ খাজা খয়েরউদ্দীন। খাজা খয়েরউদ্দীনের অনুপস্থিতিতে শফিউল ইসলাম, আব্দুল জব্বার খদ্দর ও মনসুর আলী আরামবাগের জনগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শান্তি কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তাদের উদ্বুদ্ধ করে। তারা অনতিবিলম্বে অনুরূপ একটি কমিটি গঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
২২শে এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে গোলাম আযম শান্তি কমিটির সকল সদস্যকে তথাকথিত রাষ্ট্রবিরোধীদের নাশকতামূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার আহ্বান জানায়। ১৪ই আগস্ট পাকিস্তানের ‘আজাদী দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি আয়োজিত এক সভায় গোলাম আযম ‘পাকিস্তানের দুশমনদের মহল্লায় মহল্লায় তন্ন তন্ন করে খুঁজে তাদের অস্তিত্ব বিলোপ’ করার জন্য ‘দেশপ্রেমিক’ নাগরিকদের প্রতি শান্তি কমিটির সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানায়। অপরপক্ষে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বতোভাবে সাহায্য করার জন্য লে. জেনারেল টিক্কা খান শান্তি কমিটির কর্মতৎপরতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে। শান্তি কমিটির অনেক সদস্য ঘাতক হিসেবে সারাদেশে কুখ্যাত হয়ে ওঠে।
পাকিস্তানের সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা সরাসরি শান্তি কমিটিতে সম্পৃক্ত হয়নি, তবে শান্তি কমিটির সমর্থকগোষ্ঠী হিসেবে যুক্ত হয় এবং একটি থিঙ্ক ট্যাংক তৈরি করে, তাদের মধ্যে ছিল— বিচারপতি এ কে এম বাকের, মওলানা সাইয়েদ মুস্তফা মাহমুদ আল মাদানী, মওলানা মুহম্মদ আবদুর রহীম, ড. হাসান জামান, ড. কাজী দীন মুহাম্মদ, ড. মোহর আলী, ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ব্যারিস্টার আখতার উদ্দীন, ব্যারিস্টার কোরবান আলী, অধ্যাপক আবদুল গফুর, মওলানা ওবায়দুল্লাহ, মওলানা মোন্তাসির আহমদ রহমানী, অধ্যক্ষ এ আর ফাতমী প্রমুখ। ঐ সময় পাকিস্তানি সেনানায়করা তাদের সমর্থনে নানা গোপন সংঘসহ একাধিক দল গঠন করে। কোনো-না-কোনোভাবে পাকিস্তানি সেনাদের মুক্তিকামী বাঙালি তথা মুক্তচিন্তার মানুষ দমনে সহায়তা দেয়।
শান্তি কমিটির প্রধান কাজ ছিল পাকিস্তানের নৃশংস কর্মকাণ্ডের সমর্থনে জনমত সৃষ্টি এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়টিকে পুলিশি দমন কর্মকাণ্ড হিসেবে অপরিহার্য প্রমাণ করা। ইসলামপন্থী ও পাকিস্তানপন্থী দলগুলো থেকে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য নির্বাচন করাও ঐ বাহিনীর কর্ম ছিল। এসব বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে ইসলাম ও পাকিস্তান রক্ষার স্বার্থে অপরিহার্য প্রমাণ করাও তাদের কাজ ছিল। প্রগতিশীল তরুণ সম্প্রদায় ও মুক্তচিন্তার সমর্থকদের মধ্যে কাকে ধরা হবে এবং কাকে হত্যা করা হবে, সে-ব্যাপারেও এরা সিদ্ধান্ত নিত এবং অনেক ক্ষেত্রে ঘাতক পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করত। এরা কখনো-কখনো নিজেরাই হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনে সম্পৃক্ত হতো।
বস্তুত ৬৯-এ জেনারেল আইয়ুবের পতনের পর থেকে এমন একটি ছায়াদল ও সংঘ তৈরির কাজ করে আসছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও সরকার। ৭১-এ বুদ্ধিজীবী হত্যা ছিল তাদের সে পরিকল্পনার চূড়ান্ত রূপ। এ কাজে তারা আলবদর ও বিহারি মিলেশিয়াদের ব্যবহার করে। এর মূল পারিকল্পনাকারী ছিল মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খান, মেজর জেনারেল জামশিদ ও মেজর জেনারেল এম রহিম খান। [এম এ হাসান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড