You dont have javascript enabled! Please enable it!

লাখেরাজ কসবা গণহত্যা (গৌরনদী, বরিশাল)

লাখেরাজ কসবা গণহত্যা (গৌরনদী, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১১ই নভেম্বর। এতে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকজন গ্রামবাসী শহীদ হন।
গৌরনদী উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী গবাদি পশু বেচা- কেনার হাট কসবা। উপজেলা সদর থেকে ৪ কিমি উত্তর দিকে এ হাটের অবস্থান। স্থানীয় টরকী বন্দরের পাশের ব্রিজে পাকিস্তানি বাহিনীর বাংকারে সব সময় তারা পাহারায় থাকত। গবাদি পশুর বাজারের পশ্চিম দিকে বাড়িঘর কম ছিল। এটি ছিল বিলাঞ্চল। রাজাকাররা পাকিস্তানি বাহিনীর গৌরনদী ক্যাম্পে এ মর্মে খবর পৌঁছে দেয় যে, মুক্তিযোদ্ধারা টরকী ব্রিজে পাকবাহিনীর বাংকার আক্রমণ করবে। রাজাকারদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ১১ই নভেম্বর কসবার মতি মুন্সির বাড়ির পাশ দিয়ে একদল পাকিস্তানি সৈন্য সরদার বাড়ি প্রবেশ করে। তারা সরদার বাড়ি এবং ফকির বাড়ি প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধাদের তল্লাশির নামে বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে। ফকির বাড়িতে অবস্থানরত ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা এ সময় তাদের আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করছিলেন। ঐ অবস্থায় তাঁরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। তাঁদের সহ আরো কয়েকজন সাধারণ মানুষকে হানাদাররা হত্যা করে। তাদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন— চাঁদশী গ্রামের হাবিবুর রহমান, আলতাফ সিকদার, লাখেরাজ কসবা গ্রামের জয়নাল সরদার (পিতা মিলন সরদার), নূর মোহাম্মদ ফকির (পিতা গগণ ফকির), আসরি সরদার ও পুনাই সরদার (পিতা আসরি সরদার)। [মনিরুজ্জামান শাহীন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!