লক্ষ্মীপুর-মীরগঞ্জ সড়ক যুদ্ধ (রায়পুর, লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুর-মীরগঞ্জ সড়ক যুদ্ধ (রায়পুর, লক্ষ্মীপুর) সংঘটিত হয় ২৫শে অক্টোবর। এতে ৭০ জন পাকসেনা ও ৪১ জন রেঞ্জার নিহত হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর সরবরাহ পথ বন্ধ করার জন্য লক্ষ্মীপুর-মীরগঞ্জ রাস্তার দুপাশে ফাঁদ পেতেছিলেন। তাঁরা মীরগঞ্জ রাস্তার ফজল চৌধুরী বাজার সীমানা থেকে রামগঞ্জের ফতেহপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ মাইল রাস্তার দুপাশে ২০টি গ্রুপে ভাগ হয়ে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এম্বুশ পেতে তিনদিন যাবৎ পাকবাহিনীর অপেক্ষায় থাকেন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল লক্ষ্মীপুর থেকে হানাদার বাহিনীর কনভয় এগুতে থাকলে প্রথম গ্রুপ কনভয়ের ওপর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি ছুঁড়ে আক্রমণের সূচনা করবে। ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে পাকবাহিনীর ১০-১২টি গাড়ি, জিপ, ট্রাক ও মিলিটারি ভ্যান ফজল চৌধুরী বাজারের উত্তর দিকে এসে পৌঁছলে রাস্তার পূর্ব দিকে অবস্থান নেয়া মুক্তিযোদ্ধারা প্রথমে আক্রমণ শুরু করেন। প্রবল গোলাবর্ষণের মধ্য দিয়েও হানাদার বাহিনী সামনে এগুতে থাকে। এভাবে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধারা রাস্তার দুপাশ থেকে হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালান। পাকবাহিনী এদিন পানপাড়া পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিল। কিন্তু ব্যাপক হতাহতের কারণে তারা পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয়। সেদিন যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর এক মেজর সহ ৭০ জন সৈন্য ও ৪১ জন রেঞ্জার নিহত হয়। [গাজী গিয়াস উদ্দিন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড