লস্করপুর ময়লাগাড়ি যুদ্ধ (পাবনা সদর)
লস্করপুর ময়লাগাড়ি যুদ্ধ (পাবনা সদর) ২৮শে মার্চ বিকেল থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত চলে। যুদ্ধ শেষে পলায়নপর পাকসেনারা প্রতিরোধযোদ্ধা ও জনতার হাতে ধরা পড়ে এবং গণপিটুনিতে সকলে নিহত হয়। এ-সময় ৫ জন প্রতিরোধযোদ্ধা শহীদ হন।
পাবনা শহর থেকে ৮-৯ কিলোমিটার পূর্বদিকে লস্করপুর ময়লাগাড়ির অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এটিই ছিল পাবনা শহরের প্রবেশ পথ। পাকবাহিনীর ৪-৮ জন সদস্য এখানে রাস্তার ধারের একটি ছোট্ট দ্বিতল ভবনে চেকপোস্ট বসিয়ে মাঝারি ও হালকা মেশিনগানে সজ্জিত হয়ে অবস্থান করছিল। ২৮শে মার্চ পুলিশ লাইন্স যুদ্ধের কথা ছড়িয়ে পড়তেই মোজাহিত ক্লাব, মহেন্দ্রপুর, ফকিরপুরঘাট, শালগাড়িয়াসহ আশপাশের জনসাধারণ তীর-ধনুক, ফলা- সড়কি ইত্যাদি নিয়ে তাদের ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে বুলবুল, মুকু, একদল পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর কিছু সদস্য সেখানে ছুটে যান। বিকেল চারটা থেকে সমন্ত রাত্রি ধরে চলে যুদ্ধ। এ-যুদ্ধে ছাত্রনেতা শামসুল আলম বুলবুল, আবুল মহসিন বেগ মুকু, আমিরুল ইসলাম ফুনু, ইটভাটার শ্রমিক আফসারসহ ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অবশেষে গোলাবারুদ ফুরিয়ে গেলে পালাতে গিয়ে পাকসেনারা প্রথমে জনসাধারণ কর্তৃক ধৃত ও পরে গণপিটুনিতে নিহত হয়। [মো. হাবিবুল্লাহ্]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড