রামু থানা অপারেশন (রামু, কক্সবাজার)
রামু থানা অপারেশন (রামু, কক্সবাজার) ১১ই ডিসেম্বর সংঘটিত হয়। এ অপারেশনে থানায় অবস্থানরত পুলিশ-রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে এবং তাদের অনেকগুলো অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা হস্তগত করেন।
১১ই ডিসেম্বর আবদুস ছোবহান বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা রামু থানার ঈদগড় থেকে একই থানার কাউয়ারখোপ ফেরার পথে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, পুরিক্ষ্যা বাহিনী রামু থানা আক্রমণ করেছে। পুরিক্ষ্যাদের রামু থানা আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল সরকারি অস্ত্র তাদের দখলে নেয়া। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আবদুস ছোবহান বাহিনীর অধিনায়ক আবদুস ছোবহান এবং এম এ ওহাব মিয়া রাজার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা রামু থানা অভিমুখে অভিযান শুরু করেন। মুক্তিযোদ্ধারা রামু থানায় পৌঁছার পূর্বেই পুরিক্ষ্যা বাহিনী পালিয়ে যায়। পুরিক্ষ্যা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পৃথক-পৃথক অভিযানে থানার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও রাজাকাররা অসহায় হয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধারা তাৎক্ষণিকভাবে রামু থানায় প্রবেশ করেন এবং পুলিশ ও রাজাকারদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানান। কোনো ধরনের প্রতিরোধ না করে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমপর্ণের পর মুক্তিযোদ্ধারা থানার ৯২টি রাইফেল এবং ৬,৮৬১ রাউন্ড গুলি ও ৪টি সিভিল গান হস্তগত করেন।
রামু থানা অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন নুরুল হক, মোজাফ্ফর আহমদ, রমেশ বড়ুয়া, রণধীর বড়ুয়া, আলোক বড়ুয়া, সুশীল বড়ুয়া, পুলিন বিহারী বড়ুয়া, কিরণ বড়ুয়া, দীপক কুমার বড়ুয়া, আবু আহমদ, পরেশ বড়ুয়া, বিন্টু বড়ুয়া, জহরলাল পাল চৌধুরী, অজিত পাল চৌধুরী, বিন্দু বড়ুয়া, নুরুল আমিন, সৈকত বড়ুয়া, মনোহরি বড়ুয়া, গোলাম কাদের, মনিন্দ্রলাল বড়ুয়া, আবদুল হক, জাফর আলম চৌধুরী, মঞ্জুর আলম, সিরাজুল হক রেজা, কবির আহমদ প্রমুখ। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড