You dont have javascript enabled! Please enable it! রায়গঞ্জ থানা অপারেশন (রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ) - সংগ্রামের নোটবুক

রায়গঞ্জ থানা অপারেশন (রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ)

রায়গঞ্জ থানা অপারেশন (রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ) পরিচালিত হয় নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে। এ অপারেশনে কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ১ জন আহত হন।
সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা রায়গঞ্জ। এর পূর্বে সিরাজগঞ্জ সদর, পশ্চিমে তাড়াশ, দক্ষিণে উল্লাপাড়া ও কামারখন্দ এবং উত্তরে বগুড়ার শেরপুর ও ধুনট উপজেলা। রায়গঞ্জ থানা গঠিত হয় ১৯৩৭ সালে এবং এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয় ১৯৮৪ সালে। এটি সিরাজগঞ্জ শহর থেকে ২৫ কিলোমিটারের মতো দূরে উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নে অবস্থিত। রায়গঞ্জ থানা ছিল পাকবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। থানায় তাদের দোসর ৬০ জনের মতো পুলিশ ও রাজাকার অবস্থান করত। রায়গঞ্জ থানা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। হান্নান নামের একজন পুলিশ কনস্টেবল থানায় রাজাকারদের ট্রেনিং দিত থানা অপারেশনের আগের দিন বিকেলে মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ধানগড়া হাট থেকে ধরে পূর্বলক্ষ্মীকোলা নতুনদহে নিয়ে হত্যা করে। তাকে হত্যা করার পর থানার পুলিশ ও রাজাকাররা সিরাজগঞ্জ সদরের পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে শক্তি বৃদ্ধি করে অবস্থান নেয়। ঐ রাতেই মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি গ্রুপ থানা আক্রমণের পরিকল্পনা করে লক্ষ্মীখোলা গ্রামে অবস্থান নেয়। রাত ৯টায় তাঁরা রায়গঞ্জ কবরস্থানে মিলিত হন। মুক্তিযোদ্ধাদের ৩টি দল থানা রোডের পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তরে অবস্থান নেয়। পূর্বদিকের গ্রুপ ভুল করে থানার দিকে অগ্রসর হলে শত্রুবাহিনী তাদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন (নলকা) শহীদ এবং রফিকুল ইসলাম আহত হন। এ অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের পজিশন ছেড়ে চলে যান। কমান্ডার শেখ আলাউদ্দিন, আলী আশরাফ, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মোজাম্মল হক, আব্দুল মান্নান, মজিবর রহমান, ময়েজ উদ্দিন, মতিয়ার রহমান, কোবাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও আহম্মদ হোসেনসহ ১০০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা রায়গঞ্জ থানা অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। [সুস্মিতা রানী দাস]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড