রামনগর গণহত্যা (রায়পুরা, নরসিংদী)
রামনগর গণহত্যা (রায়পুরা, নরসিংদী) সংঘটিত হয় ২৩শে সেপ্টেম্বর। এতে ১২ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত এবং ২৫-২৬ জন আহত হয়।
ঘটনার দিন রামনগর ব্রিজের পূর্বপাড়ে কর্তব্যরত ৬ জন রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধারা কৌশলে দৌলতকান্দি নিয়ে গেলে জনতা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৩ জন রাজাকার প্রাণ হারায়, ২ জনকে মুক্তিযোদ্ধারা নারায়ণপুর ক্যাম্পে নিয়ে যান এবং ১ জন আহত অবস্থায় পাকবাহিনীর ভৈরব ক্যাম্পে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পাকসেনারা বেলা ২টার দিকে রামনগর গ্রাম আক্রমণ করে। গ্রামে ঢুকে তারা বাড়িঘরে আগুন দেয় এবং এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে ১২ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত এবং ২৫-২৬ জন আহত হয়। নিহত গ্রামবাসীরা হলেন— আতাউর রহমান ভূঁইয়া (পিতা হাজী মফিজ উদ্দিন), মঙ্গল মিয়া (পিতা আছমত আলী), লিল মিয়া (পিতা আব্দুল গফুর), জুলমত আলী (পিতা নজুমদ্দিন), মতলব হোসেন (পিতা কেরাত আলী), জহিরুল হক জরু (পিতা সরাফত আলী), রুহল আমিন (পিতা অহেদ আলী মোল্লা), কোম্পানী নেছা (স্বামী ছোরত আলী), সালেহা খাতুন (স্বামী কাঞ্চন মিয়া), খাতুনের নেছা (স্বামী নেয়াজ আলী প্রধান), মমিনা বেগম (স্বামী কাঞ্চন মিয়া) ও ধন মিয়া (পিতা কাঞ্চন মিয়া)। [মুহম্মদ ইমাম উদ্দিন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড