You dont have javascript enabled! Please enable it! মুক্তিযুদ্ধে রামপাল উপজেলা (বাগেরহাট) - সংগ্রামের নোটবুক

মুক্তিযুদ্ধে রামপাল উপজেলা (বাগেরহাট)

রামপাল উপজেলা (বাগেরহাট) উনসত্তরের গণ-আন্দোলনের প্রভাব সারাদেশের মতো রামপালের প্রত্যন্ত গ্রাম সন্যাসীতেও পড়ে। এ গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্ররা সকল জাতীয় আন্দোলন, আওয়ামী লীগ-এর ৬- দফা, ছাত্রদের ১১-দফা, বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ইত্যাদি নিয়ে এলাকার জনগণের মধ্যে প্রচারণা চালায়। তারা একাধিক জনসভার আয়োজন করে। ছাত্রদের নেতৃত্বে এলাকার মানুষ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়। তারা স্লোগানে স্লোগানে সারা অঞ্চল প্রকম্পিত করে। এ আন্দোলনের প্রভাব ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বাধীন অসহযোগ আন্দোলন-এও পড়ে। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ-এ দেয়া নির্দেশের পর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ রামপাল এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। ছাত্ররা বিপুলভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক কাজে সম্পৃক্ত হয়। ২৬শে মার্চের পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য রামপালে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়৷ এ পরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ইউনিয়ন, পাড়া ও মহল্লায় কমিটি গঠন করা হয়। রামপাল থানা পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে কুবেরচন্দ্র বিশ্বাস এমপিএ এবং গাজী আব্দুল জলিল। অন্য যাঁরা সদস্য ছিলেন তাঁরা হলেন- ওহাব ইজারাদার, শেখ হারুনুর রশিদ, সুধাংশুশেখর বিশ্বাস, শেখ নজরুল ইসলাম, আবুবকর ছিদ্দিক, সুনীলকুমার বিশ্বাস, আব্দুর রাজ্জাক সরদার, শেখ আব্দুল জলিল, আবুল বাশার মোড়ল, ডা. শাহজাহান, আবু তাহের হাওলাদার, হাসান মো. শহীদুল্লাহ, শেখ আকবর হোসেন, হরেন্দ্রনাথ মণ্ডল, শেখ সামছুর রহমান, শেখ আব্দুল মজিদ, অমল মজুমদার, মনোরঞ্জন মণ্ডল, অন্নদা ঘোষ, সন্তোষ মৃধা, মনোজিৎ মণ্ডল, ললিত মণ্ডল প্রমুখ।
অবসরপ্রাপ্ত ইপিআর সদস্য রাজ্জাক সরদারের নেতৃত্বে রামপাল থানা সদরে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। থানার গ্রামাঞ্চলে সেনাবাহিনীর সদস্য আ. খালেক হাওলাদারের তত্ত্বাবধানে ছাত্র-যুবকদের অনুরূপ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অসহযোগ আন্দোলনের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। কর্মকাররা আসন্ন যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে কাটা বন্দুক, রামদা, বল্লম, তলোয়ার ইত্যাদি তৈরি করতে থাকেন। অনেকে তীর, ধনুক, সুপারির শলা, ঢাল ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র তৈরি করেন। সমস্ত রামপাল জুড়ে যুদ্ধের সাড়া পড়ে যায়। ২৫শে মার্চ হাসান মো. শহীদুল্লাহ স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে থানায় পাকিস্তানি পতাকা ছিঁড়ে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁরা থানা থেকে সমস্ত অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ভৌগোলিক কারণে পাকবাহিনীর পক্ষে রামপালে অনুপ্রবেশ সহজ ছিল না। ২৪শে এপ্রিল পাকবাহিনীর বাগেরহাট অপারেশনের পর বাগেরহাটে স্বাধীনতাবিরোধীরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সামরিক বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় তারা মহকুমার প্রতিটি থানায় শান্তি কমিটি গঠন করে। শান্তি কমিটি গঠনের পর তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাতে থাকে। তখন তাদের একমাত্র কথা ছিল ‘ভারতের দালাল দমন করো এবং লোটোপোটো খাও।’ তাদের এ ধরনের মনোভাবের বিরুদ্ধে রামপালের জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গ্রামে লোকজন সঙ্ঘবদ্ধ হয় এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যে প্রতিরোধ দুর্গ গড়ে তোলে। রামপাল থানার বড় সন্ন্যাসী গ্রামে শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হামলা ঠেকাতে পালা করে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী পাহারা দিতে থাকে। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের এ দুর্গ ভাঙ্গার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র প্রস্তুতি গ্রহণ করে। ৬ই মে ভোররাতে তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বড় সন্যাসী গ্রামে লুটতরাজ ও ভাংচুরে মেতে ওঠে। চারদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে- সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর সদস্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-যুবক-কৃষক সর্বস্তরের জনতা যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুরো এলাকা একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ও লাঠির আঘাতে শত্রুপক্ষের ১৪-১৫ জন মারা যায়। এ ঘটনা বড় সন্যাসী প্রতিরোধযুদ্ধ নামে পরিচিত।
১৯৭১ সালে বন্দরসহ পুরো মংলা রামপাল থানার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভৌগোলিক কারণে রামপালে পাকবাহিনীর আসার পথ সুগম ছিল না। সামুদ্রিক বন্দর হিসেবে মংলায় পাকবাহিনীর অস্থায়ী ঘাঁটি ছিল। মাঝেমধ্যে রামপালের পশ্চিমে পশুর নদীর ভেতরে মংলা, বিষ্ণু ও পুটিমারী নদীতে তারা গানবোট নিয়ে টহল দিত। মংলা বন্দর থেকে তারা রামপালের বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন পরিচালনা করত। রামপালে তাদের কোনো স্থায়ী ক্যাম্প ছিল না।
রামপাল থানায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের কার্যক্রম প্রধানত মহকুমা সদর থেকে নির্দেশিত ও পরিচালিত হতো। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের মধ্যে মোসলেম উদ্দিন (চাকশ্রী), ইমান আলী ইজারাদার (পেড়িখালী, পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান), আবুবকর ইজারাদার (পেড়িখালী, পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান), শেখ আফছার উদ্দিন (বাঁশতলী), সাহেব আলী মুসল্লী (শ্রীফলতলা) এরা সবাই মুসলিম লীগ-এর স্থানীয় নেতা-কর্মী ছিল।
৬ই মে রামপালে শান্তি কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা স্বাধীনতাবিরোধীদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাগেরহাটের মুসলিম লীগ নেতা ডা. মোজাম্মেল হোসেন (মোজাম) এ সভার মূল উদ্যোক্তা ছিল। সেখানে চাকশ্রীর ডা. মোসলেম উদ্দিন, পেড়িখালীর ইমান আলী ইজারাদার ও আবু বকর ছিদ্দিক, চাড়াখালীর কেরামত গোলদার, ফয়লার সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী ও কওছার আলী পাটোয়ারী, রাজনগরের ছিদ্দিক আকুঞ্জি, মিঠাখালীর সিদ্দিক চেয়ারম্যান, রামপাল সদরের ছিদ্দিক চেয়ারম্যান, গিলাতলার মেনাজউদ্দিন হাওলাদার ও হাজী গোলাম মোস্তফা, রণজায়পুরের আব্দুল হাই মাস্টার, সোনাইলতলার নুরুল হক সরদার, কাটাখালীর নুরু মুহুরী, গৌরম্ভার ইদ্রিস আলী আকুঞ্জি, আদাঘাটের আব্দুল হাদি মল্লিক, কালেখাঁরবেড়ের নুরুল হুদা ইজারাদার, শ্রীফলতলার সাহেব আলী মুসল্লী, বারইপাড়ার খাঁন জামশেদ আলী ও মহিউদ্দিন গাজী, কুমলাইয়ের ইউনুছ প্রিন্সিপাল, হোগলাডাঙ্গার আফতাব উদ্দিন হাওলাদার, মাদুরপাল্টার রজ্জব আলী সর্দার, চিলার মোহাম্মদ ইউনুছ, ডাকরার লিয়াকত গজনভী, ইসলামাবাদের মাওলানা খায়রুল বাশার, দুর্গাপুরের সামসুর রহমান, শরাফপুরের আফতাব উদ্দিন কবিরাজ এবং আরো অনেকে উপস্থিত ছিল। এদের নেতৃত্বেই থানাসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি কমিটি গঠিত হয়। এরা পুরো থানায় রাহাজানি, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে পাকবাহিনীর দোসরদের দ্বারা অবস্থাসম্পন্ন হিন্দুদের কাছে চাঁদা দাবি আরম্ভ হয়। শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির সঙ্গে- সঙ্গে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চলতে থাকে। এ এলাকায় প্রথম লুটপাট হয় ৬ই মে বড় সন্ন্যাসী গ্রামে। রামপাল থানার লঞ্চঘাটে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনকে ধরে এনে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কেটে নদীতে ফেলে দিত রাজাকাররা। সুন্দলপুর গ্রামের অভিজিৎ পালকে কুড়াল দিয়ে ফুঁপিয়ে নদীতে ফেলে দেয়া হলেও তিনি ঘটনাক্রমে বেঁচে যান। রামপাল থানার বিভিন্ন জায়গায় রাজাকাররা পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালায়। থানার সবচেয়ে বড় গণহত্যা সংঘটিত হয় ডাকরা গ্রামে। এটি ২১শে মে সংঘটিত হয। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ডাকরা গণহত্যা নামে পরিচিত এ হত্যাযজ্ঞে কয়েক শত মানুষ প্রাণ হারায়। ডাকরা গণহত্যার মতো ছোট সন্ন্যাসী গণহত্যা ও বেতিবুনিয়া গণহত্যা বাগেরহাটের রাজাকার রজ্জব আলী সর্দারের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়।
ডাকরা গ্রামে গণহত্যার শিকার অনেকের লাশ নদীর পাড়ে গণকবর দেয়া হয়। নদীর ভাঙ্গনে এ গণকবরের এখন কোনো চিহ্ন নেই। রামপাল লঞ্চঘাটে অনেক মানুষকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। লঞ্চঘাটের এ বধ্যভূমিও সংরক্ষিত হয়নি।
সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে আনোয়ার হোসেন এবং শেখ আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি পৃথক দল রামপাল থানার কালেখরবেড় গ্রামে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে। রামপালের মুজিব বাহিনীর প্রধান শেখ আব্দুল জলিলের দল তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হলে এ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এখানে পাকবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ হয়। এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউসুফ আলী শেখ শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প স্থাপনের পর গ্রামবাসী অধিক সাহসী হয়ে ওঠে। তাঁরা স্থানীয় শান্তি কমিটির অন্যতন প্রধান সংগঠক কুখ্যাত হাদী মল্লিককে আটক করে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে আনার পর হাদী মল্লিককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ খবর পাওয়ার পর ৪ঠা অক্টোবর বাগেরহাট ও রামপাল থেকে রজ্জব আলী সর্দারের নেতৃত্বে একদল রাজাকার কালেখরবেড় গ্রামের ইজারাদার বাড়িতে এসে ঘাঁটি স্থাপন করে। খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারদের ওপর টু-ইঞ্চি মর্টার শেল নিক্ষেপ করেন। ফলে রাজাকাররা আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যায়।
নভেম্বর মাসের প্রথমদিকে একরাতে কালেখরবেড় গ্রামে বিশ্রামরত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর রাজাকাররা আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা জবাব দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ারের গুলিতে ইকবাল নামে এক রাজাকার নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনার পর ইকবালের লাশ ফেলে রাজাকাররা পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিল ও তাঁর সহযোদ্ধারা এখান থেকে বেশকিছু অস্ত্র দখল করেন। ১৭ই ডিসেম্বর রামপাল উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। রামপাল উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মো. ইউছুফ আলী শেখ (পিতা তোরফান আলী শেখ, ঝানঝনিয়া, রামপাল; পাকবাহিনীর গুলিতে আহত হয়ে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান; কালেখরবেড় ঠাকুর দিঘির পাড়ে তাঁকে সমাহিত করা হয়), ইব্রাহিম হোসেন (পিতা ইসমাইল সরদার, খেজুরমহল, বাইনতলা; ১৬ই ডিসেম্বর খুলনায় পাকবাহিনীর শেলের আঘাতে শহীদ; তাঁকে খুলনার সেনহাটীতে সমাহিত করা হয়), মুনছুর আলী (পিতা আজিম বিশ্বাস, ঝনঝনিয়া; তাঁকে বাগেরহটের ফকিরহাট-রামপাল সীমান্তে বেলেঘাটা ব্রিজের ওপর নিয়ে কেটে কুচিকুচি করে ভাসিয়ে দেয়া হয়), মৃণাল মণ্ডল (পিতা আশুতোষ মণ্ডল, রামপাল; বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাঁকে বাগেরহাট ডাকবাংলো ঘাটে গুলি করে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়) এবং গুরুপদ বালা (পিতা নটবর বালা, বড় নবাবপুর, উজলকুড়; বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সপরিবার ভারতে যান; বিহারে প্রশিক্ষণ নেন এবং ৭ই ডিসেম্বর শরণখোলা থানার সদর রায়েন্দাতে আলবদর বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে শহীদ; সুন্দরবনে শরণখোলা বনকর অফিসের পাশে শিরীষ গাছের নিচে তাঁকে সমাহিত করা হয়)।
রামপাল বাজারের পূর্বদিকের কর্মকার পট্টির সড়কটির নাম দেয়া হয়েছে শহীদ গুরুপদ বালা সড়ক। কালেখরবেড় দিঘির পাড় থেকে যে রাস্তাটি রামপালের দিকে গেছে এটির নামকরণ করা হয়েছে শহীদ ইউসুফ আলী সড়ক। ডাকরাতে যে শতশত মানুষ গণহত্যার শিকার হন তাঁদের স্মরণে ডাকরা উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিমপাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। [দিলীপ কুমার মণ্ডল]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড