রামচন্দ্রপুর যুদ্ধ (সারিয়াকান্দি, বগুড়া)
রামচন্দ্রপুর যুদ্ধ (সারিয়াকান্দি, বগুড়া) সংঘটিত হয় ১৬ই আগস্ট। এতে পাকবাহিনীর দোসর সারিয়াকান্দি থানার দারোগা ময়নুল, ৫ জন পাকিস্তানি সেনা ও কয়েকজন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের মুখে এক পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে।
আগস্ট মাসের প্রথম দিকে মুক্তিযোদ্ধারা বগুড়া-সারিয়াকান্দি রাস্তার লাঠিমার ঘোন গ্রামের কাছে একটি ব্রিজ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেন। ফলে পাকবাহিনীর যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে লাটিমার ঘোন, কালু ডাঙ্গা, শাহাবাজপুর ও সাত টিকরী গ্রামে হানা দিয়ে বর্বরতা চালায়। এ খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা সৈয়দ ফজলুল আহসান দীপুর নেতৃত্বে সারিয়াকান্দি থানার নিকটবর্তী রামচন্দ্রপুর গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালান। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। মমতাজুর রহমানের (পরবর্তীকালে খেয়াঘাট যুদ্ধে শহীদ) নেতৃত্বে সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা এতে অংশ নেন। এ দলে আরো নেতৃত্ব দেন কাশেম (ঘেউরপাড়া, হাটশেরপুর) ও ফজলার রহমান (ফকিরপাড়া, নারচী)। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের দিনব্যাপী যুদ্ধে এলাকাবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে। এ-যুদ্ধে পাকবাহিনীর দোসর ময়নুল নামে সারিয়াকান্দি থানার এক দারোগা, ৫ জন পাকিস্তানি সেনা ও কয়েকজন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের মুখে এক পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। [আহম্মেদ শরীফ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড