You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.11.16 | রাণীরহাট মিলিশিয়া ক্যাম্প অপারেশন (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম) - সংগ্রামের নোটবুক

রাণীরহাট মিলিশিয়া ক্যাম্প অপারেশন (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম)

রাণীরহাট মিলিশিয়া ক্যাম্প অপারেশন (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় ১৬ই নভেম্বর। এতে ৫০ জন মিলিশিয়া ও রাজাকারের বাহিনী পরাস্ত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ আহত হন।
রাঙ্গামাটি রোডের রাণীরহাট মিলিশিয়া ক্যাম্প আক্রমণের জন্য ১৬ই নভেম্বর দুপুরে পরিমল শীল বটন্যা দুজন সহযোদ্ধাসহ রাণীরহাট মিলিশিয়া ক্যাম্প ও তদ্সংলগ্ন ইছামতি নদীর উপর রাঙ্গামাটি রোড ব্রিজ রেকি করতে যান। বিকেলে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা অমিয় তঞ্চঙ্গ্যা মুক্তিযোদ্ধাদের কাউখালীর তারাবুন্নাপাড়ার চাকমাবাড়ি ক্যাম্পে খবর নিয়ে আসেন যে, পরিমল শীল বটন্যাকে রাজাকাররা ধরে মারতে-মারতে মিলিশিয়া ক্যাম্পে নিয়ে গেছে। সঙ্গে-সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা পরিমল শীল বটন্যাকে উদ্ধারের জন্য নিজেদের অস্ত্র, গুলি, গ্রেনেড ও বিস্ফোরক নিয়ে বের হন। মিলিশিয়া ক্যাম্পের অবস্থান ছিল ইছামতি নদীর পূর্বপাড়ে রাজানগর ইউনিয়ন অফিসে। মুক্তিযোদ্ধারা নদীর পশ্চিম পাড়ে ঠান্ডাছড়ি চা বাগানে একত্রিত হয়ে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেন। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল আলমের নেতৃত্বে ১০ জনের আক্রমণকারী দল, কমান্ডার আমীন শরীফের নেতৃত্বে রাঙ্গামাটির দিকে রাস্তার ওপর ৪ জনের কাট অফ দল, কমান্ডার আবদুল আজিজের নেতৃত্বে নদীর পশ্চিম পাড়ে চট্টগ্রামের দিকে কাট অফ ও বিস্ফোরক দিয়ে ব্রিজ ধ্বংসকারী দল অবস্থান নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আক্রমণ করে ৫০ জন মিলিশিয়া ও রাজাকারকে পরাস্ত করে সহযোদ্ধা পরিমল শীল বটন্যাকে উদ্ধার করেন এবং মিলিশিয়া ক্যাম্প, রাজানগর ইউনিয়ন অফিস ও রাণীরহাট বাজার আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইছামতি নদীর ওপর চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটির সংযোগ ব্রিজটি ধ্বংস করে দেন। এ অপারেশনে সহযোদ্ধা ফয়েজ রাজাকারের গুলিতে আহত হন। পরবর্তীতে পাকিস্তানি বাহিনী এখানে আর ক্যাম্প স্থাপনে সাহস করেনি। ফলে রাঙ্গুনিয়া এলাকায় রাঙ্গামাটি রোড মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। [জগন্নাথ বড়ুয়া]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড