রাজাপুর থানা যুদ্ধ (রাজাপুর, ঝালকাঠি)
রাজাপুর থানা যুদ্ধ (রাজাপুর, ঝালকাঠি) সংঘটিত হয় ২৩শে নভেম্বর। এ-যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং থানায় অবস্থানরত রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করলে থানা হানাদারমুক্ত হয়।
রাজাপুর থানায় ফজলু খাঁর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন রাজাকার ছিল। ২১শে নভেম্বর সুবেদার আ. হামিদ মিয়া, কেরামত আলী আজাদ এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা নেতৃবর্গের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন যে, ২৩ তারিখ ভোররাতে থানা আক্রমণ করা হবে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৩ তারিখ ভোরে মুক্তিবহিনী চারপাশ থেকে থানা ঘেরাও করে রাখে। ভোর ৬টার দিকে গোলাগুলি শুরু হলে তা ব্যাপক যুদ্ধের রূপ নেয়। বেলা ১১টার দিকে মেজর শাহজাহান ওমর, বীর উত্তম ভান্ডারিয়া থেকে এসে থানার পূর্বপাশে গার্লস স্কুলের সামনে থেকে ৪-৫টি মর্টার চার্জ করলে রাজাকার বাহিনী আতঙ্কিত হয়ে যুদ্ধ সমাপ্তির ঘোষণা দেয় এবং আত্মসমর্পণ করে। এ-যুদ্ধে হোসেন আলী নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যুদ্ধে কেরামত আলী আজাদের দল, সুবেদার আ. হামিদ মিয়ার দল এবং মেজর শাহজাহান ওমরের দল অংশ নেয়। [নুরুল ইসলাম খলিফা]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড