You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে রাজারহাট উপজেলা (কুড়িগ্রাম)

রাজারহাট উপজেলা (কুড়িগ্রাম) কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে রাজারহাট উপজেলা। এর দক্ষিণে উলিপুর উপজেলা, উত্তরে লালমনিরহাট জেলা এবং পশ্চিমে রংপুর জেলা। ১৯৭১ সালে রাজারহাট ছিল কুড়িগ্রাম মহকুমার লালমনিরহাট থানার একটি ইউনিয়ন। পরবর্তীতে উলিপুর থানার ৪টি এবং লালমনিরহাট থানার ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে রাজারহাট থানা গঠিত হয়। ১৯৮৩ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর রাজারহাটকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। উপজেলার অধিকাংশ মানুষ মুসলমান হলেও একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তোলা-গণ্ডি, তেভাগা আন্দোলন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৬- দফা ও অসহযোগ আন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজারহাটের মানুষের রয়েছে বীরত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।
একাত্তরে কেন্দ্রা মৌজায় (টগরাইহাট) অবস্থিত মহকুমা আওয়ামী লীগ-এর সভাপতি এডভোকেট আহাম্মদ হোসেন সরকার (ভূতপূর্ব মোক্তার)-এর বাড়িটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রাণকেন্দ্ৰ। তাঁর নেতৃত্বে মুসলিম লীগ- ও জামায়াত প্রভাবাধীন এ মহকুমায় আওয়ামী লীগ একক রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাঁর প্রভাবে এ উপজেলার মানুষ ৬-দফা ও ১১-দফার আন্দোলনে অংশ নেয় এবং ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ সোহ্রাওয়ার্দীকে এমপিএ হিসেবে জয়যুক্ত করে। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ এবং ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর কুড়িগ্রাম মহকুমা সংগ্রাম কমিটির সিদ্ধান্তে ৫ সদস্যবিশিষ্ট হাইকমান্ড গঠিত হলে আহাম্মদ হোসেন সরকার এর আহ্বায়ক হন এবং সামরিক কৌশল বিবেচনায় তাঁর বাড়িটিকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার দ্বিতীয় হেডকোয়ার্টার্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হাইকমান্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- আহাম্মদ আলী বকসী, আনসার কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক হায়দার আলী ও প্রকৌশলী তাছাদ্দুক হোসেন। ৩০শে মার্চ রংপুর থেকে ইপিআর ক্যাপ্টেন নওয়াজিশের আগমনে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের তৎপরতা ব্যাপকতা পায়। এডভোকেট আহাম্মদ হোসেন সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ক্যাপ্টেন নওয়াজিশের সামরিক নেতৃত্বে রাজারহাটের কেন্দ্রা থেকেই প্রতিরোধযুদ্ধের সূচনা হয়। স্থানীয় ছাত্র- যুবকরা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে প্রতিদিন হয় সামরিক- বেসামরিক প্রশাসন, না হয় সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে কেন্দ্রার এডভোকেট আহাম্মদ হোসেন সরকারের বাসায় মিলিত হতেন। এডভোকেট আহাম্মদ হোসেন সরকারের টগরাইহাটের বাড়িতে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করে ইপিআর-পুলিশ-আনসার-মোজাহিদদের সংগঠিত করা হয়। বহু সংখ্যক ছাত্র-যুবক ও বিভিন্ন বয়সী মানুষ এখানে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মহিউদ্দিন আহমেদ ও সুবেদার আরব আলী এ ক্যাম্পে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী টগরাইহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মেকুরটারির মাঠের পাশে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। সেখানে আনসার কমান্ডার এনামুল হক মাস্টার এবং অপার মিয়া প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ফলে রাজারহাট হয়ে ওঠে এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু।
রাজারহাটে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও কমান্ডারবৃন্দ হলেন- আবদুল্লাহ সোহ্রাওয়ার্দী এমপিএ, এডভোকেট আহাম্মদ হোসেন সরকার, ক্যাপ্টেন নওয়াজিশ, সুবেদার আরব আলী, করাচি জয়নাল, মজিবর রহমান (ঘড়িয়ালডাঙ্গা), জহির চেয়ারম্যান, আসমত আলী, আলী মনসুর, আবুল হোসেন বসুনিয়া, আব্দুল করিম মাস্টার, রমজান পাটোয়ারী, আব্দুল আজিজ সরকার, অধ্যাপক শাহ আলম খন্দকার, এডভোকেট ফজলুল হক পাটোয়ারী, জয়নাল মাস্টার, ডা. বিনয় কুমার বোস, ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সর্দার, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জাহাঙ্গীর আলম, মেজর আব্দুস সালাম, জয়নাল আবেদিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলী, আমজাদ হোসেন সরকার, আমজাদ হোসেন সরকার-২, আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
রংপুর থেকে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটের প্রবেশমুখ তিস্তা রেলসেতু। মুক্তিযোদ্ধারা কুড়িগ্রামকে মুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে তিস্তা সেতুতে পাকবাহিনীকে প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেন। মার্চের শেষ সপ্তাহে তাঁরা সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রায় দুসপ্তাহব্যাপী প্রতিরোধযুদ্ধে তিস্তা-কাউনিয়ার স্থানীয় সাঁওতালরাও তীর-ধনুক নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। যুদ্ধে এজাজ নামে একজন পাকিস্তানি মেজর নিহত হয়। টগরাইহাট থেকে সিঙেরডাবরীর সোনাআলুর তল হয়ে তিস্তা ব্রিজের কাছে ভৈরব গিদালের বাড়ি পর্যন্ত স্থানীয় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রেললাইন উপরে ফেলে। এক পর্যায়ে পাকবাহিনী হারাগাছ দিয়ে তিস্তা নদী পাড় হয়ে লালমনিরহাট দখলে নেয়। ফলে কৌশলগত কারণে মুক্তিযোদ্ধারা তিস্তা অবরোধ শিথিল করে সীমান্তের দিকে পিছু হটে।
৭ই এপ্রিল পাকবাহিনী তিস্তা রেলপথে রাজারহাট হয়ে প্রথমবার কুড়িগ্রামে প্রবেশ করে। প্রবেশপথে তারা নিরীহ মানুষদের হত্যা ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। অপারেশন শেষে ঐদিন তারা রংপুরে ফিরে যায়। এরপর ১৪ই এপ্রিল একইভাবে রেল ও সড়ক পথে তারা পুনরায় কুড়িগ্রামে অনুপ্রবেশ করে। তারা সিঙেরডাবরী ও রাজারহাট রেলস্টেশন এবং ঠাঁটমারী ব্রিজে স্থায়ীভাবে ক্যাম্প স্থাপন করে।
পাকবাহিনীর অনুপ্রবেশের পর রাজারহাটে মুসলিম লীগ এবং জামায়াত নেতা-কর্মীদের নিয়ে শান্তি কমিটি গঠিত হয়। উপজেলা শান্তি কমিটির সদস্যরা হলো- মীর ইসমাইল হোসেন, পনির চেয়ারম্যান, জব্বার চেয়ারম্যান (স্থানীয় মুসলিম লীগের সেক্রেটারি), আকবর চেয়ারম্যান, আজিমুদ্দিন ব্যাপারী, ছফর উদ্দিন মেম্বার, আফজাল মাস্টার, গমীর উদ্দিন আহমেদ, আতাউর রহমান খন্দকার, লুৎফর রহমান পাটোয়ারী, আবেদ ব্যাপারী, এবাদত হোসেন, সদরউদ্দিন ব্যাপারী, লেঙড়া রিফুজি প্রমুখ। রাজাকার কমান্ডার মতিয়ার, মোস্তফা, তপুর, দেলোয়ার, সাঈদুর রহমান (খাটো জলিল), জমসের আলী প্রমুখের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। একই সময় অন্য ইউনিয়নেও শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। সিঙেরডাবরী ইউনিয়নের শান্তি কমিটির সদস্যরা হলো- কফিল উদ্দিন বকসী, তসলিম চেয়ারম্যান, আব্দুল গফুর সরকার, আব্দুল মোন্নাফ সরকার (মেম্বার) প্রমুখ। এ ইউনিয়নের রাজাকাররা হলো— কমান্ডার বাসেত আমীন, মনছুর উদ্দিন প্রমুখ। টগরাইহাটের রাজাকাররা হলো- সেকেন্দার আলী, আবুল হোসেন প্রমুখ। এরা সকলেই পাকবাহিনীর নির্যাতন, হত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগে সহযোগিতা করে।
৭ই এপ্রিল পাকবাহিনী কুড়িগ্রামে প্রবেশের পথে টগরাইহাটে আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট আহাম্মদ হোসেন সরকারের বাড়িতে মর্টার নিক্ষেপ করে। ১৪ই এপ্রিল অনুপ্রবেশের সময় তারা গানপাউডার দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে সম্পূর্ণ বাড়িটি ধ্বংস করে দেয়। তিস্তা থেকে কুড়িগ্রামে আসার পথে তারা রেললাইনের আশপাশের গ্রাম এবং কেন্দ্ৰা গ্রামের প্রায় সব বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। টগরাইহাট, রাজারহাট, সিঙেরডাবরী ও নজিম খাঁন বাজারে তারা অগ্নিসংযোগ করে। এ-সময় তাদের হাতে অনেকেই নিহত হয়। পাকবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের অত্যাচারে রাজারহাটের গ্রামগুলো জনশূন্য হয়ে পড়ে। উপজেলার ৯০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং বিপুল সংখ্যক মুসলমান জীবন বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় নেয়।
পাকবাহিনী মাধাইয়ের দুই সহোদর মেছের ও জয়নাল, প্রতাপের আনসার চকিদার ও হাসিমুদ্দিন, দুধ খাওয়ার সলিমুদ্দি, চাকির পশারের গোপাল ও কুমারকে হত্যা করে। এছাড়াও ঠাঁটমারী ব্রিজ পাকিস্তানি ক্যাম্প ও টর্চার সেলে জমির ব্যাপারীর পুত্র আজিজার রহমান, দুর্গাপুরের আব্দুল জব্বার আনসারীসহ অনেককে হত্যা করে। সেখানে মুক্তিপণের বিনিময়ে কেউ-কেউ ছাড়া পায়। এ ক্যাম্পে অনেক নারী ধর্ষিত হন। পাকবাহিনী মেকুরটারির নছিয়ত উল্লা, শরিয়ত উল্লাহ, লুৎফর, নূরবক্তসহ ৫ জন এবং মাজাপাড়ায় ভবেনসহ ৪ জনকে হত্যা করে। তারা জহির চেয়ারম্যানকে ধরতে না পেরে তার দুটি গরু পুড়িয়ে মারে এবং তার বাড়িসহ এলাকার অনেকগুলো বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। বিদ্যানন্দ থেকে হাশেম চেয়ারম্যান ও তার দাদাকে পাকসেনারা ধরে আনে এবং দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। তারা সিঙেরডাবরী বাজারের পূর্বদিকে রেলব্রিজ, নাখোন্দা ও পাইকপাড়ায় অনেককে হত্যা করে এবং অনেকের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। মনারকাটি মৌজার সোস নারায়ণ গ্রামের আনোয়ারা বেগম পাকবাহিনীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হন।
রাজারহাট উপজেলায় ঠাঁটমারী ব্রিজ ছিল পাকবাহিনীর মূল ক্যাম্প ও নির্যাতনকেন্দ্র। তারা এখানে অনেক মানুষকে হত্যা করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের ধরে এনে আটকে রেখে ধর্ষণ করে এবং অসহায় মানুষদের ধরে এনে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করত। রাজারহাট রেলস্টেশন ও সিঙেরডাবরী রেল স্টেশনের পূর্বদিকের ব্রিজদুটি রক্ষায় পাকসেনারা ক্যাম্প স্থাপন করে। এ ক্যাম্পে তারা সাধারণ লোকদের ধরে এনে নির্যাতন করে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য আদায় করত। ক্যাম্পদুটিতে নারীদের ধর্ষণ ও হত্যা করা হতো।
ঠাটমারী ব্রিজ ছিল একই সঙ্গে পাকবাহিনীর নির্যাতনকেন্দ্র ও বধ্যভূমি। ঠাটমারী ব্রিজ বধ্যভূমিতে ৯ মাসে বহু মানুষকে হত্যা করে পাশেই প্রবাহিত সিন্দুরমতি খালে ফেলে দিত, যা স্রোতে ভেসে ধরলায় গিয়ে পড়ত। ১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এ স্থানে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া পাইকপাড়া- মেকুরটারি বধ্যভূমি, মাধাই গণকবর, মাজাপাড়া গণকবর, প্রতাপ গণকবর, চাকির পশার গণকবর, তালেরতল (দুর্গাচরণ) গণকবর, সিঙেরডাবরী রেলব্রিজ গণকবর এবং নাখোন্দায় গণকবর রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর যুদ্ধ হয়। ১৪ই এপ্রিল রাজারহাট উপজেলার সংযোগস্থল রেলভাটা ও বড়পুলের পার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর যুদ্ধ হয়। এ-যুদ্ধে ট্রেনবোঝাই পাকসেনাদের অনেকে হতাহত হয়। এছাড়া ঠাটমারী ব্রিজ, রাজারহাট স্টেশন এবং সিঙেরডাবরী হানাদার ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ চালিয়ে তাদের অনেককে হতাহত করে। মুক্তিযোদ্ধাদের নাজিমখান অপারেশনও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ৬ই ডিসেম্বর রাজারহাট উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
রাজারহাট উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মহসিন আলী (পিতা নজির হোসেন খন্দকার, মল্লিকবেগ), আজিজুল হক (পিতা আব্দুর রহমান, জয়কুমার), হিতেন্দ্রনাথ সরকার (তালুক আষাঢু), জয়নাল আবেদীন (পুটিকাটা), ভোলানাথ বর্মণ (হাড়িভাঙ্গা), আকবর হোসেন (রতিরাম পাঠানপাড়া), গোলজার হোসেন (রতিরাম পাঠানপাড়া), আ. জব্বার (রতিরাম কমওঁঝা), জয়নাল আবেদীন (মন্দির রতিরাম), নূরল হোসেন, ছত্রজিৎ ও আ. সামাদ ওরফে খিতাব খাঁ।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আহাম্মদ হোসেন সরকারের টগরাইহাটের বাড়ির স্মৃতি রক্ষার্থে ‘একাত্তরের গর্ব’ নামে একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। সিঙ্গেরডাবড়ী ব্রিজ বধ্যভূমি, “ঠাটমারী ব্রিজ বধ্যভূমি ও ঘোড়ামার ব্রিজ বধ্যভূমিতে স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে এবং সেনপাড়া গণকবরে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম থেকে রাজারহাট হয়ে তিস্তা পাকা সড়কটি এডভোকেট আহাম্মদ হোসেন সরকারের নামে এবং সোনালী ব্যাংক থেকে রাজারহাট বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কটি শহীদ আজিজুল হকের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া সলিডারিটির উদ্যোগে শহীদ আজিজার রহমান শিক্ষা কেন্দ্র নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। [জ্যোতি আহমদ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!