You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে রাজাপুর উপজেলা (ঝালকাঠি)

রাজাপুর উপজেলা (ঝালকাঠি) ধানসিঁড়ি নদীর তীরে অবস্থিত। ঝালকাঠি (বর্তমানে জেলা) সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭ কিমি। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঐতিহাসিক দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ শুনে এখানকার মানুষ বুঝতে পারে যে, মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য। তাই তারা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। এর পাশাপাশি তারা পাড়ায়-পাড়ায় সংগঠিত ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে।
এলাকার ছাত্র-যুবকরা রাজাপুর খেলার মাঠে কাঠের বন্ধুক ও বাঁশের লাঠি দিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে। প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আনসার কমান্ডার আব্দুল মালেক খলিফা, আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, আব্দুল জলিল তালুকদার। ২৫শে মার্চ পাকবাহিনীর গণহত্যা এবং ২৬শে মার্চ বঙ্গন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর তারা আরো সংগঠিত হয়। দলে-দলে মানুষ মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে শাহজাহান ওমর, বীর উত্তম (সাবেক আইন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী) পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে ৯নং সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার হিসেবে রাজাপুর এলে এখানকার স্বাধীনতাকামী মানুষের মধ্যে সাহসের সঞ্চার হয়। তাঁর নেতৃত্বে রাজাপুরে এক বিশাল মুক্তিবাহিনী গড়ে ওঠে। তাদের প্রশিক্ষণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
রাজাপুরে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা হলেন— এ কে এম ইসমাইল মিয়া এমপিএ, ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমর, কেরামত আলী আজাদ (থানা কমান্ডার), সুবেদার আব্দুল হামিদ মিয়া (ডেপুটি কমান্ডার), মো. মোফাকখের বিশ্বাস, এনায়েত হোসেন খান (মিলু খাঁ), ইপিআর সদস্য মো. হারুন-আর- রশিদ শিকদার, আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, আব্দুল জলিল তাং, মোবাশ্বের আলী বিশ্বাস, নুরুল ইসলাম খলিফা, আব্দুল মালেক খলিফা, আব্দুর রশিদ সিকদার প্রমুখ।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে পাকবাহিনী ঝালকাঠি থেকে এসে রাজাপুরে প্রবেশ করে এবং কয়েকটি বাড়িতে আগুন দিয়ে আবার ঝালকাঠি ফিরে যায়। রাজাপুরে তাদের কোনো ক্যাম্প ছিল না, ঝালকাঠি থেকে এসে তারা অপারেশন চালাত। তবে রাজাপুর থানায় রাজাকারদের ক্যাম্প ছিল।
পাকবাহিনী রাজাপুরে প্রবেশ করে এ কে এম ইসমাইল মিয়ার বাড়ি, সুবেদার শামসুল হকের বাড়ি এবং আজহার মিয়ার বাড়িতে আগুন দেয়। তারা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় মুসলিম লীগ প্রধান আ. শুক্কুর মৃধা (সাংগর) সহ অন্যরা মিলে শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠন করে। শান্তি কমিটির প্রধান ছিল মো. মোকছেদ খাঁ (ফুলহার), আর রাজাকার বাহিনীর প্রধান ছিল ফজলু খাঁ। রাজাপুর উপজেলার শান্তি কমিটির সদস্যরা হলেন- মো. মোকাম্মেল হোসেন (সভাপতি, রাজাপুর); আব্দুল শুক্কুর মৃধা (সাধারণ সম্পাদক, শুক্তাগড়); ইসমাইল মিয়া মাস্টার (বরইয়া), মো. নুর হোসেন গাজী (রাজাপুর), আব্দুল হামিদ জমাদ্দার (সাতুরিয়া), মো. মোকসেদ আলী খাঁ (রাজাপুর), মো. সামসের আলী খাঁ (রাজাপুর), মো. মোকলেসুর রহমান রাড়ী (গালুয়া), মো. রফিজ উদ্দিন তালুকদার (রাজাপুর), মো. ইয়াকুব আলী খোন্দকার (রাজাপুর), হাজী আফতার উদ্দিন (রাজাপুর), মো. ইউসুফ আলী তালুকদার (রাজাপুর), আঃ মজিদ খান (রাজাপুর), হাজী মোসলেম আলী (রাজাপুর), মো. হানিফ মৃধা (শুক্তাগড়), মোফাজ্জেল হোসেন (গালুয়া), ডাঃ মোকলেসুর রহমান (বরইয়া), আঃ ওহাব খাঁ (রাজাপুর), আঃ রহিম খাঁ (রাজাপুর), আঃ রহমান গাজি চৌকিদার (মঠবাড়ি), মোহাম্মদ আলী (গালুয়া), মো. খলিল মাস্টার (মঠবাড়ি), মো. ইয়াকুব আলী খান (মঠবাড়ি), আব্দুল গণী মুন্সি (মঠবাড়ি), মো. সিদ্দিক হোসেন (মঠবাড়ি), মজিবর রহমান মাস্টার (মঠবাড়ি), হায়দার মহরি (রাজাপুর), কাদের আঁকন (শুক্তাগড়), হাজী আব্দুর রহমান (গালুয়া), আব্দুল মালেক মুন্সি (মঠবাড়ি), আব্দুল মন্নান সিকদার (মঠবাড়ি), সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার (জগইরহাট), আপতার উদ্দিন হাওলাদার (রাজাপুর), রাশিদ মৌলভি (সাতুরিয়া), মুযাহার হাওলাদার ওরফে লিন্টু হাওলাদার (শুক্তাগড়), আব্দুল মালেক তালুকদার (রাজাপুর), মোকছেদ আলী খান (রাজাপুর), আফতাব উদ্দিন হাওলাদার (রাজাপুর), সামসের খান (রাজাপুর), তোফেল আহমেদ (রাজাপুর), আইয়ুব আলী (রাজাপুর), আব্দুস সত্তার তালুকদার (রাজাপুর), আব্দুল মজিদ জমাদ্দার (সাতুরিয়া), আব্দুস সোমেদ মোল্লা (সাতুরিয়া), হামিদ জমাদার (সাতুরিয়া), আক্তার হাজী (রাজাপুর), নূর গাজী (ফুলহার), তোফেল উদ্দিন (মনোহরপুর), মোকাম্মেল মিয়া (রাজাপুর), আজিজ ডাক্তার (রাজাপুর) প্রমুখ।
রাজাপুর উপজেলার রাজাকার কমিটির সদস্যরা হলেন- মো. ফজলুর রহমান খান (কমান্ডার, রাজাপুর); মো. হাবিবুর রহমান খান (সহকারী কমান্ডার, রাজাপুর); আজিজ হাওলাদার (রাজাপুর), আঃ মজিদ (মেম্বার, রাজাপুর); মো. সেলিম (রাজাপুর), মো. সেলিম তালুকদার (রাজাপুর), তালুকদার আবুল কালাম আজাদ (শুক্তাগড়), মো. আইয়ুব আলী (গ্রাম সরকার, রাজাপুর); মো. আশ্রাব আলী ব্রিটিশ (রাজাপুর), মো. হেমায়েত হোসেন নুরু (সাতুরিয়া), মো. নুরুল ইসলাম (শুক্তাগড়), আশ্রাব আলী খোন্দকার (রাজাপুর), হাকিম হাওলাদার (রাজাপুর), আব্দুল মজিদ দফাদার (পার গোপালপুর), আব্দুল মজিদ জমাদ্দার (নৈকাঠী), শাহজাদা মিয়া (রাজাপুর), আমজেদ আলী হাওলাদার (সাতুরিয়া), খোরশেদ আলী তালুকদার (সাতুরিয়া), দিলু সাহেদ আলী (সাতুরিয়া), হাসেম সিকদার (সাতুরিয়া), ফাক্কার আলী সিকদার (সাতুরিয়া), মোবারক আলী খান (সাতুরিয়া), জয়নাল খলিফা (সাতুরিয়া), মোসলেম হাওলাদার (সাতুরিয়া), আলী আজিম খান (সাতুরিয়া), মনসুর মোল্লা (সাতুরিয়া), ওয়াজেদ আলী সিকদার (সাতুরিয়া), ইউসুফ আলী (সাতুরিয়া), জালিল সিকদার (সাতুরিয়া), আবু আলী সিকদার (সাতুরিয়া), নবি খান (সাতুরিয়া), আব্দুল খালেক (সাতুরিয়া), জানাব আলী চৌকিদার (রাজাপুর), বারেক দফাদার (শুক্তাগড়), আব্দুর রব দফাদার (শুক্তাগড়), আমানুল্লাহ মেম্বার (সাতুরিয়া), মুনসুর আলী (সাতুরিয়া), আব্দুল হক সামসু (মঠবাড়ি), আব্দুল হক (রাজাপুর), আব্দুল আজিজ (গালুয়া), জাহাঙ্গীর (শুক্তাগড়), ফাইজুর আলী (শুক্তাগড়), মোহাম্মদ খান (শুক্তাগড়), আব্দুল খালেক (সাতুরিয়া), আব্দুর রব (সাতুরিয়া), আব্দুল খালেক চাপরাশি (সাতুরিয়া), আমির হোসেন (সাতুরিয়া), নুর ইসলাম (সাতুরিয়া), আতাহার হাওলাদার (শুক্তাগড়), মোনাসেফ খান (শুক্তাগড়), হাবিবুর রহমান খান (রাজাপুর), জয়নাল আবেদিন (রাজাপুর), মোহাম্মদ আলী (শুক্তাগড়), মহিউদ্দিন (শুক্তাগড়), ইউনুস জমাদ্দার (সাতুরিয়া), রুহুল আমিন দফাদার (সাতুরিয়া), নুরুদ্দিন ফকির (সাতুরিয়া), খালিল (সাতুরিয়া), আক্কেল খোন্দকার (সাতুরিয়া), হাবিব খলিফা (সাতুরিয়া), মোকসেদ চকিদার (সাতুরিয়া), রশিদ খলিফা (সাতুরিয়া), ইউসুফ (সাতুরিয়া), আব্দুস সালাম খান (সাতুরিয়া), ইয়াকুব আলী খোন্দকার (রাজাপুর), মধু তালুকদার (মঠবাড়ি), মোতালেব হাওলাদার (রাজাপুর), মহারাজ তালুকদার ওরফে হেমায়েত তালুকদার (রাজাপুর), আব্দুল জলিল নৌকা ওরফে নাইয়া (রাজাপুর), মোজাম্মেল মেম্বার (গালুয়া) প্রমুখ। এদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও নির্দেশে শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা হত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারীনির্যাতন, লুণ্ঠন ইত্যাদি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। এরা রাজাপুর, ছোট কৈবর্তখালী, গালুয়া, নৈকাঠী, পালবাড়ী, সাতুরিয়া, মনোহরপুর, নারিকেলবাড়িয়া, কাঠীপাড়া, তারাবুনিয়া, ইন্দ্ৰপাশা প্রভৃতি গ্রামে ১৪ জনকে হত্যা করে এবং বহু বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।এদের হাতে বহু নারীও নির্যাতিত হয়। এছাড়া তারা যুবতী নারী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ধরে পাকবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
পাকবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার বাহিনীর হাতে যারা শহীদ হন, তারা হলেন— কেদারনাথ চক্রবর্তী, মো. হারুন শরীফ, অনিল কর্মকার, নির্মল চন্দ্র দে, শশিভূষণ বিশ্বাস, নিখিল চন্দ্র দাস, মো. ইউনুচ (ছোট কৈবর্তখালী), মো. আবুল কালাম আজাদ (গালুয়া), মো. ইউনুচ মোল্লা (নৈকাঠী), আ. মন্নান (নৈকাঠী), মোকলেছুর রহমান (পালবাড়ী স্কুলের শিক্ষক), কাছেম জোমাদ্দার (সাতুরিয়া), দুই ভাই কার্তিক ও পুতুল (মনোহরপুর)।
যাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়া হয় তাদের মধ্যে আরো কয়েকজন হলেন- নুরুল হক মাতুব্বর, যোগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, আক্কাস মৃধা (নারিকেলবাড়িয়া), মোহাম্মদ মৃধা, মোহাম্মদ মিয়া, অনন্ত রায় (কাঠীপাড়া), তোফাজ্জেল জোমাদ্দার, সুধীর, নারায়ণ কবিরাজ প্রমুখ। নিখিল ও রাজারাম তেওয়ারীর ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া মনোরঞ্জন সরকার, গোপাল সাহা, মঙ্গল সাহা, নুরুল ইসলাম খলিফা, আশ্রাব আলী খলিফা, আ. খালেক সিকদার, অজিত সাহা, হিমাংশু দাস, রশিদ ফকির (কৈবর্তখালী), নুরুল হক (ইন্দ্ৰপাশা), মোফাকখের বিশ্বাস (ইন্দ্রপাশা), কার্তিক ও পুতুল, অনন্ত সিকদার, মতিলাল বেপারী প্রমুখের বাড়িঘর লুট করা হয়। এদের বাড়িঘর থেকে গরু-ছাগল ও গাছপালা পর্যন্ত কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজাকাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে নিরপরাধ লোকজনদের ধরে এনে থানার ক্যাম্পে বন্দি করে রাখত। তারপর রাতের অন্ধকারে থানার সামনে নদীর ঘাটে কাঠের সিঁড়ির ওপর দাঁড় করিয়ে তাদের গুলি করে নদীতে ফেলে দিত। এ-কারণে এই ঘাট রাজাপুর থানাঘাট বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৭ই মে রাজাপুর উপজেলায় দক্ষিণ কাঠীপাড়া গণহত্যায় ৩৫ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়। গণহত্যার পর শহীদদের এখানে গণকবরে সমাহিত করা হয়, যা দক্ষিণ কাঠীপাড়া গণকবর নামে পরিচিত।
রাজাপুরে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম যুদ্ধ হয় এপ্রিলের শেষদিকে মঠবাড়ি ইউনিয়নের হাইলাকাঠিতে। এ- যুদ্ধে কোনো পক্ষেরই তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পরের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধটি হলো রাজাপুর থানা যুদ্ধ। ২৩শে নভেম্বর সংঘটিত এ-যুদ্ধে এজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং থানায় অবস্থানরত রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে। ফলে রাজাপুর থানা হানাদারমুক্ত হয়।
উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর, বীর উত্তম (পিতা আব্দুল হামিদ, সাংগর) ও দেলাওয়ার হোসেন, বীর প্রতীক (পিতা সেকান্দার আলী হাওলাদার, গোপালপুর)।
রাজাপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মো. আব্দুর রাজ্জাক (পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান, সাংগর; ৯ই অক্টোবর রাজাপুর থানাযুদ্ধে শহীদ), সিপাহি মোহম্মদ হারুন-অর-রশিদ (মনোহরপুর; ১লা নভেম্বর বানারীপাড়া যুদ্ধে শহীদ), মো. কবির হোসেন (সাকরাইল; ১৩ই নভেম্বর দরগাবাড়ির যুদ্ধে শহীদ), চন্দ্রশেখর বিশ্বাস (পিতা শশীভূষণ বিশ্বাস, মনোহরপুর; ৬ই ডিসেম্বর বাখরগঞ্জ থানাযুদ্ধে শহীদ), মো. হোসেন আলী (ইন্দ্রপাশা), মো. নেছার উদ্দীন হাওলাদার (পিতা হাফেজ উদ্দীন হাওলাদার, সাংগর), মোফাজ্জেল হোসেন মৃধা (পিতা মোক্তার উদ্দীন মৃধা, সাংগর), আব্দুল মন্নান হাওলাদার (পিতা আব্দুল হাকিম হাওলাদার, নৈকাঠি), মো. হাবিবুর রহমান খান (পিতা মৌলভী আশরাফ আলী খান, নন্দীকাঠি), আবুল হোসেন তালুকদার (পিতা আয়ুব আলী তালুকদার, মনোহরপুর), মীর মোবারক হোসেন (পিতা মীর আহসান আলী, সাতুরিয়া), শশীভূষণ বিশ্বাস (পিতা উমাচরণ বিশ্বাস, মনোহরপুর), মো. মানিক হাওলাদার (পিতা আব্দুল গণি হাওলাদার, ভাতকাঠি), মো. আবুবকর মিঞা (পিতা মো. রাশেদ মিঞা, গালুয়া), মো. আবুল কালাম আযাদ (পিতা মো. আবুবকর মিঞা, গালুয়া), মো. শামসুল হক হাওলাদার (পিতা আব্দুল লতিফ হাওলাদার, চর উত্তমপুর), মো. ইউনুস আলী সিকদার (পিতা মৌলভী এনজান আলী সিকদার), হারুন শরীফ (রাজাপুর) এবং আব্দুর রহমান (রাজাপুর)।
রাজাপুর থানাঘাট বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। এছাড়া, রাজাপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের নামে উল্লেখযোগ্য কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। দক্ষিণ কাঠীপাড়া গণকবরের অবস্থা জরাজীর্ণ, সেখানে কেবল একটি তোরণ আছে। [নুরুল ইসলাম]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!