রাঙ্গুনিয়া তহশিল অফিস অপারেশন (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম)
রাঙ্গুনিয়া তহশিল অফিস অপারেশন (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় জুলাই-আগস্ট মাসে। চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলাস্থ রাঙ্গুনিয়া সদরের তহশিল অফিসে পাহারারত রাজাকারদের ওপর মুক্তিযোদ্ধারা এ অপারেশন চালান। এতে রাজাকাররা অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায় এবং তাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। হাবিলদার আছহাব মিয়ার নেতৃত্বে সুলতান আহমদ কুসুমপুরী বাহিনীর একদল মুক্তিযোদ্ধা রাঙ্গুনিয়া তহশিল অফিস অপারেশনের পরিকল্পনা করেন। ধোপাছড়ি পার্বত্যাঞ্চল থেকে রাত ৮টায় রওনা দিয়ে তাঁরা রাত ২.৩০টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ১১ জন সশস্ত্র রাজাকার তখন তহশিল অফিসে পাহারারত ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশনের জন্য রওনা দেয়ার আগেই রেকির মাধ্যমে রাজাকারদের অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কে খবর নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তহশিল অফিসে পৌছার সঙ্গে- সঙ্গে তাঁরা রাজাকারদের ওপর আক্রমণ চালান। রাজাকাররা ১ ঘণ্টার মতো আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা তহশিল অফিস জ্বালিয়ে দেন এবং রাজাকারদের ১১টি থ্রি- নট-থ্রি রাইফেল ও কিছু গুলি উদ্ধার করে নিজেদের অবস্থান ধোপাছড়িতে ফিরে যান।
এ অপারেশনে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- হাবিলদার আছহাব মিয়া (পিতা কেরামত আলী, উত্তর গাছবাড়িয়া, চন্দনাইশ), মফজল আহমদ (ইবিআর, মুরাদাবাদ, চন্দনাইশ), সুভাষ বড়ুয়া (পুলিশ সদস্য), আহমদ নবী (দক্ষিণ গাছবাড়িয়া, চন্দনাইশ), মেকানিক নুরুশ্ছফা (সাতকানিয়া), ছাবের আহমদ (পিতা গুরা মিয়া, দোহাজারী), আবু বক্কর ভূঁইয়া (পিতা সুলতান আহমদ, বেলতলী, চন্দনাইশ), হাবিলদার রফিক (সাতকানিয়া ছমদর পাড়া), ল্যান্স নায়েক নূরুল কবির (সাতকানিয়া), হারুন (দোহাজারী), আহমেদ শফি (সাতকানিয়া), আতিউর রহমান প্রমুখ। [শামসুল আরেফীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড