রাংতা বেপারী বাড়ি গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল)
রাংতা বেপারী বাড়ি গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১৫ই মে। এতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়।
রাজিহার ইউনিয়নের বিলাঞ্চলের গ্রাম রাংতা। রাংতা থেকে চেঙ্গুটিয়া যাওয়ার পথে বিলের মধ্যে একটি মাত্র বাড়ি, যা ‘বইয়ের বাড়ি’ (বেপারী বাড়ি) নামে পরিচিত। হানাদার বাহিনীর আক্রমণের খবরে গ্রামবাসী নিরাপদ জায়গা হিসেবে বিলের মধ্যে বেপারী বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ১৫ই মে পাকিস্তানি বাহিনী এ বাড়িতে গণহত্যা চালায়। তারা বিলের জল-কাদা উপেক্ষা করে বেপারী বাড়িতে আক্রমণ করে। তারা বাড়ির প্রতিটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং আশ্রয় নেয়া প্রায় সকলকে হত্যা করে। গণহত্যায় টরকী বন্দর থেকে আশ্রয় নেয়া ব্যবসায়ী নির্মল চক্রবর্তীর পরিবার এবং তাঁর স্ত্রীর বোনের পরিবারের ১০ জন সদস্যসহ বেশ কয়েকজন মানুষ শহীদ হন। রাংতা বেপারী বাড়ি গণহত্যায় শহীদ ১৯ জনকে শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন- সুনীতি বেপারী (৩২) (স্বামী বিনোদ বেপারী), বকুল বেপারী (৮) (পিতা বিনোদ বেপারী), বিমল বেপারী (৪) (পিতা বিনোদ বেপারী), নিতাই বেপারী (৩৫) (পিতা মাধব বেপারী), গোলাপি বেপারী (৩০) (পিতা মাধব বেপারী), মানিক্য বেপারী (২৫) (পিতা মাধব বেপারী), নিরঞ্জন বেপারীর ভাইয়ের স্ত্রী ও মেয়ে, ভক্ত বেপারীর মেয়ে এবং টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী নির্মল চক্রবর্তীর পরিবারের ১০ জন। গণহত্যার স্থানটি বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। [মনিরুজ্জামান শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড