You dont have javascript enabled! Please enable it!

রাখাইন পাড়া বৌদ্ধ বিহার গণহত্যা (মহেশখালী, কক্সবাজার)

রাখাইন পাড়া বৌদ্ধ বিহার গণহত্যা (মহেশখালী, কক্সবাজার) সংঘটিত হয় ৬ই মে। এদিন অনেককে হত্যা করা হয়। বিহারের মূর্তি ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। নিহতদের মধ্যে ১৪ জনের নাম জানা গেছে।
৬ই মে কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত মহেশখালী উপজেলার ঠাকুরতলা রাখাইন অধ্যুষিত গ্রামে বৌদ্ধ বিহারে বসবাসরত উ তেজিন্দা মহাথেরোকে পাকিস্তানি বাহিনী ধর্ম ও জাতীয়তা কি তা নিয়ে প্রশ্ন করে। তিনি শান্তভাবে উত্তর দেন ‘রাখাইন এবং বৌদ্ধ’। অতঃপর উন্মত্ত সৈন্যরা উক্ত ধর্মীয় পুরোহিত ও তাঁর ৭ জন শিষ্যকে ধরে এনে প্রখর রৌদ্রে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয় এবং তাঁদের গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া আরো কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। যারা সেদিনের গণহত্যার শিকার হন, তারা হলেন- উ তেজিন্দা মহাথেরো (পিতা উচাথ্যেই), আম্মেরি (পিতা থোয়ানছি), ক্য চা মং (পিতা লু মং), মং টিনয়েইন (পিতা ছ লা), আদুং মং, মাদ্রা মং, চিহ্লা মং, উ য়েন চা, চচা মং, হ্লা মং চিং, হ্লামং চিং, উ ঞানা মং, উ মংটিন, উ অং টিন প্রমুখ। দুজন যুবক চচা মং ও চিংহ্লা মং মারাত্মক আহত অবস্থায় পালিয়ে রক্ষা পায়। এদিনের হত্যাকাণ্ড ও পাকবাহিনীর তাণ্ডবলীলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন দক্ষিণ রাখাইন পাড়া লামার পাড়া ক্যাং-এর মন্থতং প্রুর পুত্র ৭০ বৎসর বয়সী অং চিন থোয়াই এবং অং মং-এর পুত্র ৬৫ বৎসর বয়সী সিবো রাখাইন, কবি ও কলামিস্ট মং ছেন চীন (মং ছিন) এবং মহেশখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র মং লায়েন। পাকিস্তানি সৈন্যরা প্রথমে আগুন দিয়ে বিহার জ্বালিয়ে দেয় এবং বুদ্ধমূর্তি ভাংচুর করে। আগুনে পুড়ে ৩ জন নিরপরাধ বৌদ্ধ ভিক্ষু শহীদ হন। [জগন্নাথ বড়ুয়া]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!