You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পার্বত্য এলাকা। এর উত্তরে নানিয়ার চর ও লংগদু উপজেলা, দক্ষিণে কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলা, পূর্বে বরকল ও জুরাছড়ি উপজেলা এবং পশ্চিমে কাউখালী উপজেলা। এখানে প্রধানত খুমি, চাক, লুসাই, পাংখোয়া প্রভৃতি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাস। কর্ণফুলী নদী ও কাপ্তাই লেক এ উপজেলার দুটি উল্লেখযোগ্য জলাশয়। উপজেলার মোট আয়তনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে আছে কাপ্তাই লেক। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ নং সেক্টরের অধীনে ছিল এ উপজেলা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের পর থেকে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার মানুষ স্বাধীনতার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এইচ টি ইমাম (হোসেন তওফিক ইমাম), রাঙ্গামাটি মহকুমার এসডিও আব্দুল আলী প্রমুখের সহযোগিতায় এ এলাকার ছাত্র-যুবকরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিস্বরূপ মার্চের শেষ সপ্তাহে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় গৌতম দেওয়ান (পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রেসিডেন্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র)-এর নেতৃত্বে গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। এ পরিষদে সম্পৃক্ত হন রণবিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, বাবু প্রভোদন মগ, আব্দুস শুকুর, তপন দত্ত, দিদারুল আলম, এস এম কামাল, বাবু পরিমল দে, মোস্তফা কামাল উদ্দিন, ছাত্র ইউনিয়নের দিলীপ দেব প্রমুখ ছাত্রনেতা। ২৫শে মার্চ ঢাকায় গণহত্যা শুরু হলে ২৬শে মার্চ থেকে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের অনেক ইপিআর সদস্য লঞ্চযোগে রাঙ্গামাটিতে এসে জড়ো হতে থাকেন। ২৭শে মার্চ থেকে সিভিল প্রশাসন ও ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি স্টেশন ক্লাবের মাঠে মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সেখানে ইপিআর সদস্যরা এলাকার ছাত্র- যুবকদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। আলম ডকইয়ার্ডের ফ্লোটিং রেস্টুরেন্টের ছাদে ওয়ারলেস সেট বসিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার খবরাখবর সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়। ২৯শে মার্চ ৬০ জনের একটি দল প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য ভারতে যায়। পরবর্তীতে আরো অনেকে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়। ২রা এপ্রিল তৎকালীন জেলা প্রশাসক এইচ টি ইমাম সরকারি কোষাগার থেকে প্রচুর অর্থ এবং পুলিশ, আনসার ও ইপিআরদের অস্ত্র এনে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেন। ১০ই এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম দল প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসে এবং তাঁরা বিভিন্ন ক্যাম্পে নতুন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেন। এরপর দলে-দলে মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
তবলছড়ি বাজারের নিকটবর্তী টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ঢাকার পরিস্থিতি ও পাকবাহিনী কর্তৃক গণহত্যার সংবাদ পাওয়ার পর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ পাকবাহিনীকে প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেন। ২৬শে মার্চ তারা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ঘাগড়া সড়কে বটগাছের ডাল কেটে ফেলে এবং গর্ত খনন করে পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা চালান।
রাঙ্গামাটি উপজেলায় যুদ্ধকালীন কমান্ডার ছিলেন দুজন। তাঁরা হলেন রণবিক্রম কিশোর ত্রিপুরা (পিতা বরেন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা, ওয়াপদা কলোনি) ও মনীষ দেওয়ান (পিতা বিমলেশ্বর দেওয়ান, তবলছড়ি)।
১৪ই এপ্রিল পাকবাহিনী রাঙ্গামাটিতে অনুপ্রবেশ করে এবং পুলিশ লাইন, রাঙ্গামাটি থানা, জেলা প্রশাসকের বাংলো, সার্কিট হাউজ ও ট্রেজারিতে তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই রাঙ্গামাটিতে শান্তি কমিটি গঠিত হয়। চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ত্রিদিব রায় ছিল এর প্রধান। সে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক অনারারি মেজর উপাধিপ্রাপ্ত হয়। শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকার দের মধ্যে এস টি হোসেন (ব্যবসায়ী, রাঙ্গামাটি শহর), আহমুদুল হক (আইনজীবী, রাঙ্গামাটি শহর), হাজী আব্দুস সত্তর, মোস্তাফিজ খলিফা (কুখ্যাত রাজাকার, তবলছড়ি বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী), গফুর হাজি (রিজার্ভ বাজার), নজরুল ইসলাম (রিজার্ভ বাজার) প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া লালদেঙ্গার নেতৃত্বে মিজো বাহিনীর বিরাট একটি অংশ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে।
পাকবাহিনী রাঙ্গামাটি পুলিশ লাইন, রাঙ্গামাটি থানা ও জেলা প্রশাসকের বাংলোকে নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির হিসেবে ব্যবহার করত।
এপ্রিল মাসের শেষদিকে রাজাকার কমান্ডার মোস্তাফিজ খলিফার নেতৃত্বে তার সহযোগীরা তবলছড়ির প্রিয়রঞ্জন দে, অনীল ভট্টাচার্য (টোব্যাকো কোম্পানির ডিলার ব্যবসায়ী) ও তার ভ্রাতুষ্পুত্রকে পাকিস্তান-বিরোধী আখ্যা দিয়ে পাকবাহিনীর নিকট ধরিয়ে দেয়। পাকবাহিনী তাদের গুলি করে হত্যা করে। এছাড়াও রাজাকার কমান্ডার মোস্তাফিজ খলিফা মাঝের বস্তির সুধীর চন্দ্র দাশ, তবলছড়ির অবর্ণ চরণ দে ও গৌরাঙ্গ দে এবং আসাম বস্তির বঙ্কিমকে একই অভিযোগে পাকবাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেয়। পাকবাহিনী তাদের পুলিশ লাইন ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকাররা তবলছড়ি ও ওমদামিয়া পাহাড়ের হিন্দু বাড়িগুলোতে লুণ্ঠন চালিয়ে আসবাবপত্রসহ ঘরের চালের টিনগুলোও খুলে নেয়। তারা তবলছড়ি কালী মন্দিরের সমস্ত সম্পদ লুটে নেয় এবং মন্দিরটিকে মক্তবে রূপান্তরিত করে সেখানে শিশুদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করে। ভারত থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে আব্দুস শুক্কুর (মাস্টার কলোনি), মো. ইফতেখার (খুলনা), কালাম আজাদ (রাঙ্গামাটি), মো. ইলিয়াছ ও মো. আব্দুল বারী মহালছড়ি হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় নৌকাযোগে অসাবধানতাবশত রাঙ্গামাটি লেকের ধারে পুলিশ লাইনের কাছাকাছি নামেন। ব্লাক আউট থাকায় তাঁরা তা বুঝতে পারেননি। সেখানে ক্যাম্পে অবস্থানরত পাকবাহিনী তাঁদের সঙ্গে-সঙ্গে ধরে ফেলে। আবুল কালাম আজাদ লেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করতে পারলেও অন্যদের পুলিশ লাইন ক্যাম্পে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।
সেপ্টেম্বর মাসে ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রীয় নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী (রাউজান) ও সুব্রত সাহা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশ মিশন নিয়ে রাঙ্গামাটির নিকটবর্তী কাউখালী নামক স্থানে গিয়েছিলেন। সেখানে এক গোপন আস্তানায় প্রস্তুতি নেয়ার সময় স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পাকসেনারা এসে তাঁদের সশস্ত্র অবস্থায় ধরে ফেলে এবং তাঁদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালায়। এরপর মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁদের রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে এনে হত্যা করা হয়। রাঙ্গমাটি সদর উপজেলায় নির্দিষ্ট কোনো বধ্যভূমি বা গণকবর নেই। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকবাহিনী মুক্তিকামী অনেককে হত্যা করে তাদের লাশ পুলিশ লাইন্স ক্যাম্প ও মানিকছড়ির পাহাড়ি খাদের পাশে ফেলে দিত।
১৫ই ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর মেজর সুরী এবং মুক্তিযোদ্ধা মনীষ দেওয়ান ও শামসুদ্দিন পেয়ারার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনী ও মিজো বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়, যা কুতুকছড়ির যুদ্ধ নামে পরিচিত। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা কুতুকছড়ির পাহাড়ি বনাঞ্চলে অবতরণ করে পাকসেনাদের ক্যাম্পে ঝটিকা আক্রমণ করেন। এতে পাকবাহিনীর অনেকে হতাহত হয় এবং বাকিরা মানিকছড়ি হয়ে চট্টগ্রামের দিকে পলায়নকালে মানিকছড়ির ব্রিজটির আংশিক উড়িয়ে দেয়। মিজোবাহিনী পাহাড়ি পথে গভীর অরণ্যে চলে যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী রাঙ্গামাটি দখলের জন্য চলে আসে। ১৭ই ডিসেম্বর রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় তিনজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম জানা যায়। তাঁরা হলেন- আব্দুস শুক্কুর (পিতা দেলোয়ার হোসেন, মাস্টার কলোনি, তবলছড়ি; ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে এপ্রিল মাসে দেশে ফেরার পর কয়েকজন সহযোদ্ধার সঙ্গে পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে শহীদ), স্বপন কুমার বিশ্বাস (পিতা যতীন্দ্র লাল বিশ্বাস, রিজার্ভ বাজার) ও লাল বাহাদুর ছেত্রী (পিতা কৃষ্ণ বাহাদুর ছেত্রী, আসামবস্তি)। এ উপজেলার বাসিন্দা কিন্তু অন্যত্র শহীদ হয়েছেন এমন একজন হলেন অর্জুন চন্দ্র দে (পিতা বিশ্বম্ভর দে, তবলছড়ি, রাঙ্গামাটি; প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর, পুলিশ বিভাগ; ২৬শে মার্চ কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সুপার কবির উদ্দিন ও অন্যান্য কর্মিসহ পাকসেনাদের সঙ্গে প্রতিরোধযুদ্ধের সময় বন্দি হন এবং কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়)। এছাড়া বাইরে থেকে এখানে যুদ্ধ করতে এসে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা হলেন- সুব্রত কুমার সাহা (স্বপন কুমার চৌধুরীর সঙ্গে অপারেশনে এসে কাউখালীতে শহীদ), মো. ইফতেখার (পিতা এম এর আলী, খুলনা; আব্দুস শুক্কুরের সঙ্গে রাঙ্গামাটিতে এসে পাকসেনাদের হাতে ধৃত ও শহীদ), মো. মামুন (চট্টগ্রাম, প্রাক্তন খাদ্য পরিদর্শক; আব্দুস শুক্কুরের সঙ্গে রাঙ্গামাটিতে এসে পাকসেনাদের হাতে ধৃত ও শহীদ), মো. শফি (মিরেশ্বরাই, আব্দুস শুক্কুরের সঙ্গে রাঙ্গামাটিতে এসে পাকসেনাদের হাতে ধৃত ও শহীদ), এস এম কামাল (দাগনভূঞা, ছাত্রনেতা; আব্দুস শুক্কুরের সঙ্গে রাঙ্গামাটিতে এসে পাকসেনাদের হাতে ধৃত ও শহীদ), আব্দুল আলী (গোপালগঞ্জ, বালিয়াকান্দি; এসডিও, রাঙ্গামাটি; রাঙ্গামাটিতে বন্দি অবস্থায় পাকবাহিনীর হাতে শহীদ), মো. ইলিয়াছ (মো. আব্দুস শুক্কুরের সঙ্গে রাঙ্গামাটিতে এসে পাকসেনাদের হাতে ধৃত ও শহীদ), মো. আব্দুল বারী (মো. আব্দুস শুক্কুরের সঙ্গে রাঙ্গামাটিতে এসে পাকসেনাদের হাতে ধৃত ও শহীদ), খগেন্দ্রলাল চাকমা (পিতা, মণি চাকমা, মাঝেরবস্তি, রাঙ্গামাটি; কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগরে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন; মে মাসে পাকসেনাদের হাতে শহীদ) ও আন্নি মগ (পিতা আখাই মগ, আসামবস্তি, রাঙ্গামাটি; প্রতিরোধযুদ্ধে পাকসেনাদের হাতে শহীদ)।
রাঙ্গামাটিতে শহীদ মুন্সী আব্দুর রউফ, বীরশ্রেষ্ঠ-এর একটি ভাস্কর্য সেনাবাহিনী কর্তৃক রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়ি রাস্তার পাশে মুন্সী আব্দুর রউফ, বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ার- এ নির্মিত হয়েছে। এর পাশে মার্বেল পাথরে খোদাইকৃত তিনজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা অর্জুন চন্দ্র দে (সাব ইন্সপেক্টর অব পুলিশ), আব্দুস শুক্কুর (ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা) ও খগেন্দ্র লাল চাকমা (পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর, কুমিল্লার মুরাদনগরে শহীদ) ছবি ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতিসহ একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। আব্দুস শুক্কুরের নামে রিজার্ভ বাজার এলাকায় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে শহীদ শুক্কুর ক্লাব প্রতিষ্ঠা ও একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া তবলছড়ি মাস্টার কলোনির সড়কটি আব্দুস শুক্কুরের নামে নামকরণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক রাঙ্গামাটি মহকুমার এসডিও শহীদ আব্দুল আলীর নামে রিজার্ভ বাজারে ১৯৭২ সালে শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি নামে একটি হাইস্কুলের নামকরণ করা হয়েছে। [স্বপন কুমার দে]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৯ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!