You dont have javascript enabled! Please enable it!

যশোর কোতয়ালি থানা প্রতিরোধযুদ্ধ (যশোর সদর)

যশোর কোতয়ালি থানা প্রতিরোধযুদ্ধ (যশোর সদর) সংঘটিত হয় ৭ই এপ্রিল। এতে ৫ জন বাঙালি পুলিশ সদস্য শহীদ হন।
মুক্তিযোদ্ধারা ২৮শে মার্চ থেকে যশোর সেনানিবাস ঘিরে রাখায় পাকহানাদারদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে তারা ৩রা এপ্রিল থেকে বৃহত্তর যশোর জেলায় হত্যকাণ্ডে মেতে ওঠে। এ হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ৭ই এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যশোর সদর উপজেলার কোতয়ালি থানা আক্রমণ করে। সকাল ৮টার দিকে তারা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থানা ঘিরে ফেলে এবং গুলি চালাতে থাকে। তখন কোতয়ালি থানায় স্বল্প সংখ্যক বাঙালি পুলিশ কর্তব্যরত ছিল। তারা সাধারণ থ্রি- নট-থ্রি রাইফেলের সাহায্যে হানাদারদের হামলার জবাব দেয়। কিন্তু পাকবাহিনীর আধুনিক অস্ত্রের কাছে এক সময় তারা পরাস্ত হয়। এ যুদ্ধে ৫ জন পুলিশ সদস্য শহীদ হন। তাঁরা হলেন— নায়েক আবদুস সালাম, কনস্টেবল আবদুস সালাম খোন্দকার, আকরামুজ্জামান মিয়া, নরেন্দ্রনাথ নাগ ও আবদুল হামিম মিয়া। এঁদের থানা চত্বরেই কবরস্থ করা হয়। কবরস্থানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে, যাতে এই ৫ জনসহ যশোর পুলিশ লাইনের ৮১ জন শহীদ পুলিশের নাম উৎকীর্ণ করা হয়েছে। [মহসিন হোসাইন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!