You dont have javascript enabled! Please enable it!

যশোর ক্যাথলিক চার্চ গণহত্যা (যশোর সদর)

যশোর ক্যাথলিক চার্চ গণহত্যা (যশোর সদর) সংঘটিত হয় ৪ঠা মে। এতে চার্চের ফাদারসহ ৭ জন নিরীহ কর্মচারী শহীদ হন।
ঘটনার দিন বিকেলে যশোর সেনানিবাসের সৈন্যরা অশ্লীল ভাষায় গালি দিতে-দিতে চার্চে প্রবেশে করে। চার্চের লোকদের অপরাধ ছিল তারা হানাদারদের হামলায় আহত মানুষদের আশ্রয় ও সেবা-শুশ্রূষা দিচ্ছিলেন। স্থানীয় বিহারিরা এ সংবাদ হানাদারদের কাছে পৌঁছে দেয়। চার্চের পরিচালনায় ছিলেন ফাদার মারিও। তিনি যেমন ছিলেন সেবাপরায়ণ, তেমন ছিলেন বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক। যশোরের বিভিন্ন স্থানে আক্রান্ত বহু সংখ্যক সাধারণ মানুষকে চার্চে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল। ৪ঠা মে চার্চে হামলা করে হানাদার বাহিনী ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতরা হলেন ফাদার মারিও ভেরেনিসি (৫৮), অনীল সরদার (৫৬), প্রকাশ বিশ্বাস (৫০), পবিত্র বিশ্বাস (১৫), মিসেস ফুলকুমারি তরফদার (৫০), স্বপন বিশ্বাস (২৫) ও ম্যাগলাদোনা তরফদার। হত্যাকাণ্ডের সময় চার্চের হাসপাতালে রেডক্রশের পতাকা উড়ছিল। কর্মচারীরা রেডক্রশের ব্যাজ ধারণ করছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও হানাদাররা চার্চে হামলা চালায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে চার্চের লোকদের হত্যা করে। [মহসিন হোসাইন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!