বীর প্রতীক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বীর প্রতীক (জন্ম ১৯৪১) কাদের সিদ্দিকীর বাহিনীর যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৪১ সালের ২রা এপ্রিল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার তামাইট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম কাদের মিয়া ও মাতার নাম হামিদা বেগম।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ১৯৭১ সালে তৎকালীন মুসলিম কমার্সিয়াল ব্যাংকের টাঙ্গাইলের পাঁচআনি বাজার শাখায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণ ও তাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণে বাঙালিদের প্রতি তাঁর আহ্বান অন্যান্যদের মতো মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকেও আলোড়িত করে। ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যায় ঝাঁপিয়ে পড়লে তিনি অন্যদের সঙ্গে টাঙ্গাইলে প্রতিরোধ সংগ্রামে যোগ দেন। এরপর তিনি ভারতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে এসে কাদের সিদ্দিকী, বীর উত্তম-এর নেতৃত্বাধীন বাহিনীতে যোগ দিয়ে টাঙ্গাইলের সিরাজকান্দি, কালিহাতী, দেওপাড়া, এলেঙ্গা এবং ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ইত্যাদি স্থানে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের স্থানীয় দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ফুলবাড়িয়া যুদ্ধে তিনি আহত হন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মোহাম্মদ হামিদুল হক-কে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। তিনি ২ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীর নাম মোছা. লিলি খাতুন। [শেখ সাইয়েদুল ইসলাম]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড