মোহনগঞ্জ শ্মশানঘাট বধ্যভূমি ( মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা)
মোহনগঞ্জ শ্মশানঘাট বধ্যভূমি ( মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ শহরের দৌলতপুরে অবস্থিত শ্মশানঘাট এলাকাকে বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহার করে। এখানে তারা বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।
জুলাই মাসে পাকবাহিনী এ শ্মশানঘাটের পাশে ৫ জন নিরীহ মানুষের ওপর গুলি চালায়। তারা সবাই বাহাম গ্রামের সৈয়দ আলীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা ভেবে পাকবাহিনী তাদের আহত অবস্থায় ধরে নিয়ে যায়। তাদের দুজন সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার বাখরপুর গ্রামের আব্দুন নূর চৌধুরী ওরফে আবু মিয়া (পিতা আব্দুল মোতালিব) ও শওকত আলী (পিতা আব্দুর রহিম) শ্মশানঘাটে পাকবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। পাকসেনাদের গুলিতে একই গ্রামের নূরুল আমিন চৌধুরী (পিতা আব্বাছ আলী চৌধুরী), আব্দুস সাত্তার (পিতা আসক আলী) ও শুক্কুর আলী (পিতা সাদত আলী) মারাত্মকভাবে আহত হন।
এ শ্মশানঘাটে ডা. আব্দুস ছোবহান নামে কিশোরগঞ্জের জঙ্গলবাড়ি এলাকার এক ব্যক্তি পাকবাহিনীর হত্যার শিকার হন। তিনি মোহনগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের আত্মীয়। মুক্তিযোদ্ধা মনে করে পাকবাহিনী তাকে এ বাসা থেকে ধরে শ্মশানঘাটে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এ বধ্যভূমিতে ধর্মপাশা উপজেলার মধিপুর গ্রামের রহমত আলী ও সামছু মিয়া নামে অপর দুজন পাকসেনাদের গুলিতে প্রাণ হারান। মোহনগঞ্জ সদরের টেঙ্গাপাপাড় গ্রামের হাজীবাড়ি থেকে তাদের ধরে এনে হত্যা করা হয়। [সঞ্জয় সরকার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড