You dont have javascript enabled! Please enable it!

বীর প্রতীক মো. জাহাঙ্গীর ওসমান ভূঁইয়া

মো. জাহাঙ্গীর ওসমান ভূঁইয়া, বীর প্রতীক (১৯৫০- ২০০২) যুদ্ধকালে প্রথম বেঙ্গল ওয়্যার কোর্স সম্পন্নকারী, গঙ্গাসাগর সাব-সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত। তিনি ১৯৫০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলাধীন কসবা ইউনিয়নের অন্তর্গত ছতুরা শরীফ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতার নাম দেলোয়ারা বেগম এবং পিতার নাম মকবুলুর হোসেন ভূঁইয়া।
১৯৭১ সালে মো. জাহাঙ্গীর মো. জাহাঙ্গীর ওসমান ভূঁইয়া ওসমান ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। স্কুলজীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগ-এর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সালে অন্নদা এম এস হাইস্কুল শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৬৭-১৯৬৮-তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৬৮-১৯৬৯-এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি এবং ১১ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ জেলা শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর বর্বরতম গণহত্যা শুরু করলে মো. জাহাঙ্গীর ওসমান ভূঁইয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। ২৭শে মার্চ মেজর শাফায়াত জামিল, বীর উত্তম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোগরা বাজারে (গঙ্গাসাগর) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু করলে মো. জাহাঙ্গীর ওসমান তাতে অংশগ্রহণ করেন। এরপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যুদ্ধকালীন ফার্স্ট বেঙ্গল ওয়্যার কোর্সে মনোনীত হয়ে প্রশিক্ষণ নেন। সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে তিনি কমিশনপ্রাপ্ত হন। কমিশন লাভের পর তিনি ক্যাপ্টেন আইনউদ্দিনের কমান্ডে ২ নম্বর সেক্টরের গঙ্গাসাগর সাব-সেক্টরে যোগ দেন এবং বিভিন্ন যুদ্ধে বীরত্বের পরিচয় দেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের স্বাক্ষর রাখায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মো. জাহাঙ্গীর ওসমান ভূঁইয়াকে ‘বীর প্রতীক’ খেতাব প্রদান করা হয়। তিনি ২ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীর নাম সেলিনা ওসমান কলি। ১৯৮৮ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০২ সালের ১৪ই এপ্রিল এ বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেন। [হারুন রশীদ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!