You dont have javascript enabled! Please enable it! বীর প্রতীক মো. আতাউর রহমান - সংগ্রামের নোটবুক

বীর প্রতীক মো. আতাউর রহমান

মো. আতাউর রহমান, বীর প্রতীক (জন্ম ১৯৫৪) হাবিলদার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। আতাহার নামেও পরিচিত তিনি ১৯৫৪ সালের ১৫ই অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ইনসাফনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আছলেম উদ্দিন মণ্ডল এবং মাতার নাম গোলেজান নেছা। আতাহার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ২১শে আগস্ট পাকিস্তান সেনাবাহিনতে যোগ দেন এবং চট্টগ্রাম ইবিআরসি থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে তিনি যশোর সেনানিবাসে প্রথম বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। ৩০শে মার্চ পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাঁর রেজিমেন্টের বাঙালি সদস্যদের সঙ্গে তিনি প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেন। যশোর সেনানিবাসে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষে তিনি মাসলিয়া বিওপিতে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে একত্রিত হন। সেখান থেকে ভারতের ২৪ পরগণার পেট্রাপোল ক্যাম্পে চলে যান। ৮নং সেক্টরে থাকা অবস্থায় তিনি হায়বাতপুর ব্রিজ ধ্বংস ও বেনাপোলের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। জুন মাসে ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ভারতের তেলঢালায় চলে যান এবং ‘জেড’ ফোর্সে যোগ দেন। এরপর তিনি ধানুয়া-কামালপুর ও কোদালকাঠির যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ২৩শে সেপ্টেম্বর সংঘটিত কোদালকাঠির যুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তাঁকে ভারতের তুরার জি বি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নততর চিকিৎসার জন্য লখনৌ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসা শেষে স্বাধীনতার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখায় হাবিলদার মো. আতাউর রহমান-কে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। তাঁর স্ত্রীর নাম মোছা. রানী বেগম। তাঁরা ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক-জননী। [শফিউদ্দিন তালুকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড