মেহেরপাড়া গণহত্যা (নরসিংদী সদর)
মেহেরপাড়া গণহত্যা (নরসিংদী সদর) সংঘটিত হয় ১৭ই আগস্ট। এতে ২১ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
পাঁচদোনা ব্রিজে স্থাপিত পাকবাহিনীর ক্যাম্প থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পাঁচদোনা বাজার।এ বাজারের পশ্চিম পাশের গ্রামটিই মেহেরপাড়া। এ গ্রামে ন্যাভাল সিরাজ পরিচালিত একটি ট্রেনিং ক্যাম্প ছিল। এ ক্যাম্পে এই গ্রাম ও আশপাশের মুক্তিকামী মানুষেরা মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ১৬ই আগস্ট কমান্ডার ইমাম উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচদোনা ব্রিজে একটি যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধের পরপরই হানাদার বাহিনী পাঁচদোনা বাজারটি সম্পূর্ণরূপে জ্বালিয়ে দেয়। পরের দিন তারা মেহেরপাড়া ও আশপাশের গ্রামে ঢুকে নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। ২১ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। শহীদরা হলেন- গাদু মিয়া (পিতা দুখাই মুন্সী), আকালী (পিতা আক্কাছ আলী), সাদত আলী (পিতা দুখাই মুন্সী), আবুল হাসেম ওরফে হাবু মিয়া, সিরাজ মিয়া সরু (পিতা ফাইজউদ্দিন), ইনুছ আলী ইনু (পিতা সুখাই), ফটিক মিয়া (পিতা বাবর আলী), আকু মিয়া (পিতা তোরাব আলী), আ. ছালাম (পিতা সাহেবালী), রশিদ মিয়া (পিতা আ. ছামাদ), ইনু মিয়া (পিতা নাজিমউদ্দিন), তমিজ উদ্দিন (পিতা পচা মিয়া), মোমেন মিয়া (পিতা তমিজ উদ্দিন), জোহরা বেগম (স্বামী গিয়াস উদ্দিন), হাবিজ উদ্দিন (পিতা ওমেদ আলী, কুড়েরপাড়), ইউনুছ আলী (পিতা ফটিক মিয়া, কুড়ের পাড়), মিয়া বক্স (পিতা কিতাব আলী, চৌয়া), মো. আলী (পিতা মকর উদ্দিন, চৌয়া), কৃষ্ণচন্দ্র দাস (পিতা গগন দাস, দাসপাড়া), কলাবতী দাস (স্বামী কৃষ্ণচন্দ্র দাস, দাসপাড়া) এবং জাহাদ আলী (পিতা মাসুদ শেখ, কিছমত বানিয়াদি)। [মুহম্মদ ইমাম উদ্দিন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড